আপনার বিনিয়োগ বা জমানো টাকা আপনার অজান্তে কেউ অন্য কোথাও খাটিয়ে ফেলছে না তো ? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে রাজস্থানের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে।
সুজিত চ্যাটার্জি, সাংবাদিক- বয়স ২৬ বছর। রাজস্থানের কোটা এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক রিলেশনশিপ ম্যানেজার। গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ গ্রাহকের জমানো ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা সে চুরি করেছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিসের তদন্তে ওই ম্যানেজার ধরা পড়েন। অভিযুক্ত ম্যানেজার গ্রাহকের টাকা তাকে না জানিয়ে নিজে সরিয়ে ফেলে ও ফাটকা বাজারে বিনিয়োগ করে। ফিউচার অপশনে টাকা লাগায় সে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গেছে এবং প্রশ্ন উঠেছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্দরে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কিনা ? গ্রাহকদের মধ্যে অনেকেই বলিষ্ঠ নাগরিক যাদের কর্মজীবন থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান অর্থ বিভিন্ন রাশি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন ওই ব্যক্তি। একদিকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট এর ধাক্কায় জেরবার বয়স্ক নাগরিকরা, তার মধ্যে দুর্নীতিবাজ আধিকারিক ও কর্মীরা গ্রাহকের সঞ্চিত রাশি নিয়ে চুড়ি বাটপারি করলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশ ও।