বিএসএফ জওয়ানের গুলিতে সহকর্মীর মৃত্যু, চাঞ্চল্য সামশেরগঞ্জে

গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

শঙ্কর গোস্বামী, সাংবাদিক, মুর্শিদাবাদ- ডিউটিরত অবস্থায় বিএসএফ জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু হল অপর এক বিএসএফ জওয়ানের। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাহারঘাটি এলাকায়। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ান এস কে মিশ্র ইনসাস রাইফেল থেকে প্রায় ১৩ রাউন্ড গুলি চালান। সহকর্মী জওয়ান রতন লাল সিং (বয়স ৩৮)-এর শরীরে পাঁচ রাউন্ড গুলি লাগে বলে জানা যাচ্ছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান এস কে মিশ্র রাজস্থানের বাসিন্দা। ঘটনার পর প্রথমে তিনি পলাতক থাকলেও পরে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। উদ্ধার হয়েছে গুলির খোলও।

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে আটক করা হয়েছে। বন্দুক ও গুলির খোল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।”

প্রসঙ্গত, সামশেরগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক অশান্তির প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।