লাক্সারি ব্র্যান্ডের শাড়ি পড়ে বিয়ের পিঁড়িতে মহুয়া

ইনস্টাগ্রামে যে ৩ টি ছবি শাড়ি বিপনন সংস্থা আপলোড করেছে সেই ছবিতে মহুয়াকে দেখা গেল, স্বামী প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের পাশে সিঁথিতে অল্প সিঁদুর পরিহিত, কপালে সোনার টিকলি, পুরনো ডিজাইনের বাঙালি নকশার জড়োয়ার গয়না আর হালকা গোলাপি রঙের বেনারসি শাড়িতে। শাড়ির সংস্থা জানিয়েছে, মহুয়ার শাড়িটির দাম ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা।

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- জার্মানির বার্লিনের রাজপ্রাসাসে রাজকীয় বিয়ে সারলেন মহুয়া মৈত্র-পিনাকী মিশ্র। সাংসদ মহুয়া মিত্র বরাবরই নিজের মার্জিত পোশাক-পরিচ্ছদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন। সংসদে বক্তব্য রাখার সময়েও তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। ৫১ বছর বয়সী মহুয়া স্ট্রেট চুল, হ্যান্ডলুম শাড়ি স্লিম ফিগারে যেন ১৮-র তন্বী। বছর খানেক আগেই ফ্রেঞ্চ লাক্সারি ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ব্র্যান্ড চোখ টেনেছিল সবার। সেই ব্যাগ নিয়ে বহুদিন পর্যন্ত কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। যদিও সেবারে সাংসদ পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন মোদির ১০ লাখি স্যুটকে উদ্দেশ্য করে। যাঁর ব্যাগের দাম ১ লক্ষ ৬০ হাজারের তাহলে তাঁর রাজকীয় বিয়ের শাড়ি কত হতে পারে ভাবুন?

সাংসদ তাঁর ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে পড়েছিলেন বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রিয় ব্র্যান্ড “র ম্যাঙ্গো”-র শাড়ি। পিঙ্ক-ঘিয়ে কম্বিনেশনের মহুয়ার শাড়ির দাম জানিয়েছে খোদ সংস্থাই। বৃহস্পতিবার মহুয়ার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই লাক্সারি এই ব্র্যান্ড তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মহুয়া মৈত্রর ছবি আপলোড করে। ছবির বিবরণে শাড়ির যাবতীয় তথ্য দেয় সংস্থা। সঙ্গে এটাও জানা যায় বাঙালির ঐতিহ্য মেনে মহুয়া বেনারসি শাড়ি-ই পড়েছিলেন বিয়েতে।
ইনস্টাগ্রামে যে ৩ টি ছবি শাড়ি বিপনন সংস্থা আপলোড করেছে সেই ছবিতে মহুয়াকে দেখা গেল, স্বামী প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের পাশে সিঁথিতে অল্প সিঁদুর পরিহিত, কপালে সোনার টিকলি, পুরনো ডিজাইনের বাঙালি নকশার জড়োয়ার গয়না আর হালকা গোলাপি রঙের বেনারসি শাড়িতে। শাড়ির সংস্থা জানিয়েছে, মহুয়ার শাড়িটির দাম ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। তবে প্রশ্ন হল কেন এত দাম? কী আছে এই শাড়িতে?

সংস্থা জানাচ্ছে, ওই বেনারসিটি তাদের ব্র্যান্ডের সব থেকে সূক্ষ্ম কাজের বেনারসিগুলির মধ্যে একটি। শাড়িটির নাম “পরিগুল ব্রোকেড বেনারসি”। এতে রয়েছে কড়ওয়া পদ্ধতিতে হাতে বোনা নকশা। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি বুটি আলাদা আলাদা ভাবে বোনেন শিল্পীরা। বুনতে সময় এবং পরিশ্রম লাগে বেশি। এই পদ্ধতিটিও কঠিন। তাই কাজের নাম “কড়ওয়া”। যার অর্থ “কঠিন”। মহুয়ার বেনারসিটি ওই কড়ওয়া পদ্ধতিতে জাল নকশায় বোনা। এই ধরনের কাজের শাড়ি পরে এই বছর কান চলচ্চিত্রোৎসবে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কড়ওয়া কাজের জাল নকশার বেনারসি পরতে দেখা গিয়েছে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকেও। মহুয়ার এটি বিয়ের শাড়ি। বিয়ের দিনের সাজের জন্য সাধারণত মেয়েরা বাড়তি খরচ করেনই। যদিও মহুয়ার ব্যাগের দামের তুলনায় শাড়ির দাম একদমই চমকপ্রদ নয় বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।