দিদির রাজ্যে মোদির টান, চলতি মাসেই দ্বিতীয় বঙ্গসফরে প্রধানমন্ত্রী

পাখির চোখ যখন বাংলার বিধানসভা নির্বাচন তখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করবে না এমনটা হতেই পারে না। প্রথা মেনেই ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ারে সভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী তার পরেই কলকাতায় এসেছেন অমিত শাহ এবার চলতি মাসেই দ্বিতীয় বার বঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ চলতি জুন মাসেই বাংলায় ফের আসতে চলেছেন মোদি। জানা গেছে এবার দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন তিনি। তবে কবে তিনি আসবেন কতদিন থাকবেন সেই বিস্তারি সফর সূচী এখনও জানা যায়নি। বেই সমস্ত সফর দিয়ে বাংলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি তা কিন্তু স্পষ্ট।

এই রাজ্যে বঙ্গ বিজেপি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। তবে হাতে ইস্যু অনেক আছে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তাই নিয়মিত বঙ্গে আসার আবেদন জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই এবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড় তুলতে পারেন মোদী। কিন্তু, কবে কোথায় সভা করবেন সে বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানা যায়নি। উত্তরবঙ্গের পর এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের গেরুয়া কর্মীরা তাই আশায় বুক বাঁধছেন প্রধানমন্ত্রী এসে কি বার্তা দেন তা জানতে।

উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বিরোধীদের হাতে প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এসএসসি ২০১৬-র প্যানেল বাতিল। এছাড়া তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগও গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া দিয়েছে। এর পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের চরম সাফল্য এখন বিজেপির সুদর্শন চক্র যে অস্ত্র দিয়েই রাজ্যের শাসক দলকে ঘায়েল করতে চাইছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার যখন কিছুটা ব্যাকফুটে তখন সেই ফাঁকা জায়গায় দখল করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মোদি-শাহের পেপটক এখন ভীষণ দরকার দলের।

মে মাসের ২৯ তারিখ উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একটি জনসভা থেকে আগামী বিধানসভার দামামা বাজিয়ে দেন মোদি। সেখান থেকে বাংলার শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এই সভা থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন যে, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল সরকার তাদের ভুল মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। উল্টে তারা আদালত আর বিচার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করে চলেছে ।“ বাংলায় বিজেপির উন্নয়ন নিয়ে মোদি বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক৷ বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে৷ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে ৷ কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে ৷” এরপরই বাংলায় তিনি বলেন, “বাংলার উদয় বিকশিত ভারতের জয়”। এবার দক্ষিণবঙ্গ থেকে কি বলেন মোদি তা নিয়ে জল্পনা চলছে পদ্মশিবিরের অন্দরমহলে।