মালদহ: সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ব্রিগেডে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সমাবেশের চার দিনের মধ্যেই রাজ্য সফরে এসে আক্রমণাত্মক মোদীর সেনাপতি। মালদহে সভার শুরুতে কোন ভূমিকা না করেই সরাসরি ‘তৃণমূল সরকার হঠাও’ স্লোগান দিয়ে সভা শুরু করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মাটিতে পদ্ম ফোঁটাতে মালদহের জনসভায় সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। জনসভা থেকে তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করতেই বাংলায় এসেছি আমি। ২০১৯এর নির্বাচন ভারতের থেকেও বাংলার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন ঠিক করবে তৃণমূল সরকার থাকবে না যাবে।” পাশাপাশি তিনি রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাতের ডাক দেন।
২০১৯ এর ভোট দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে মঙ্গলবার জনসভা থেকে তিনি বলেন। মালদহের জনসভা থেকে তিনি আক্রমনাত্মক হয়ে বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্র হত্যা করছে তৃণমূল কংগ্রেস”। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। সব বুথে নির্বাচন কমিশনের লোক থাকবে। পঞ্চায়েত ভোটের মতো ভোট হবে না।” মালদহের সভামঞ্চ থেকে নেতাজী জন্ম জয়ন্তী প্রসঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ” সুভাষচন্দ্র বসুকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিলে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুভাষ বসুর নাম অমর রাখতে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপের নাম সুভাষ বসুর নামে রেখেছেন। ” সভামঞ্চ থেকে অসমে নাগরিক পঞ্জীকরণ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “সব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাঁদেরও নাগরিকত্ব দেবে ভারত। লোকসভায় ‘সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট’এর বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল, ওরা এটা চায় না। রাজ্যসভায় দেখি ওরা কী করে!” এছাড়া তিনি ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেছেন
প্রকল্প বাবদ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কমাতে ‘আয়ুষ্মাণ ভারত’-এর কার্ড পান না বাংলার মানুষ। বিজেপির সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, এই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় অর্ধেক মহার্ঘ ভাতা পান। এভাবে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানে গঠিত ইউনাইটেড ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “জোট জোট নিয়ে এত চেঁচানো হচ্ছে, ওটা আসলে স্বার্থের জোট।” সভার শেষে বাংলার মানুষের কাছে মোট ২৩টি আসনে বিজেপিকে জেতানোর জন্য আবেদন করেন অমিত শাহ। জনসভায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, ২৩ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামে পরবর্তী সভা করে দিল্লি ফিরে যাবেন অমিত শাহ। এদিন মালদহে অমিতের সভার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ” বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না। মিথ্যা কথা বলছেন অমিত শাহ। “