ওয়েব ডেস্ক: ব্রিগেড শুরুতেই জাতীয় স্তরের নেতৃত্ব বক্তব্যের অগ্নিবাণে একের পর এক আক্রমণ করলেন বিজেপিকে। ভাঙা বাংলা ভাষায় দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক স্তরের নেতারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানান। ব্রিগেডের সভা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নোটবাতিল সহ একাধিক ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ করেন। জিএসটি নিয়েও মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। ইভিএম-এর বদলে ব্যালট পেপার ফেরানোর দাবি জানান তিনি। সভা মঞ্চ থেকে বলেন, “নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছে দেশ। অমরাবতিতে ফের সমস্ত বিজেপি বিরোধীরা একজোট হবেন”। ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চ থেকে চন্দ্রবাবু নাইডু “সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসি”-র স্লোগান তুলে সম্মিলিত ভাবে ভারতের গণতন্ত্রকে রক্ষার ডাক দেন। জনধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, কালো টাকা ফিরিয়ে এই সব প্রকল্প আসলে ভারতের মানুষকে দেওয়া ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মহারাষ্ট্রের এনসিপি-র বর্ষীয়ান নেতা শরদ পওয়ার বলেন, “নোটবন্দি ও জিএসটি মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে নাজেহাল করে দিয়েছে। দেশে কৃষকরা ঋণগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করছে। “সমাজে মহিলা ও দলিতদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছেন এনসিপির বর্ষীয়ান এই দল নেতা। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতার চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে মোদীর বিরোধী জোট মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সভামঞ্চ থেকে তার কন্ঠে গর্জে উঠল স্লোগান- “চৌকিদার চোর হ্যায়”। বিজেপির সাংসদ হয়ে মোদী বিরোধী মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বদম্ভে রাফাল চুক্তি নিয়ে তথ্য গোপন, জিএসটি, দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যুতে কড়া ভাষায় বিজেপি বিরোধী বক্তব্য রাখলেন শত্রুঘ্ন। একজন বিজেপি সাংসদের মুখে পরিবর্তনের কথা শুনে জনতার উচ্ছ্বাসে বিস্ফোরিত হল ব্রিগেড৷ তিনি আরও বলেন, “মোদী সরকারের পারফরম্যান্স নেই, তাই দলে থেকে নানা ভাবে তির্যক উক্তি শুনতে হয়৷ গ্যাসের দাম বাড়িয়ে উজ্জ্বলা যোজনা বানাচ্ছে সরকার”৷ অযোধ্যা প্রসঙ্গে মোদী সরকারের ধর্ম রাজনীতি নিয়ে দেশের মানুষকে সাবধান করেছেন এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ৷ “ব্যক্তির থেকে বড় পার্টি আর পার্টির থেকেও বড় দেশ, আমি দলের আগে দেশের মানুষের সঙ্গে আছে” বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম-আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ব্রিগেডের সভা মঞ্চ থেকে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “স্বাধীনতার ৭০ বছরেও পাকিস্তান দেশকে ভাঙতে পারেনি। বিজেপি ৫ বছরে সেই কাজ করে দেখাতে চলেছে। দেশের মহিলাদের স্যোশাল মিডিয়ায় অপমান করেন বিজেপির নেতারা। প্রধানমন্ত্রী তাদের টুইটারে ফলো করেন। ২০১৯-এ বিজেপি দেশে ফিরলে দেশকে টুকরো টুকরো করে দেবে”। বক্তব্যের শেষে অরবিন্দ কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন “হিটলার দেশের সংবিধান বদলে ছিল, মোদীও বদলাতে চায়”।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.