কলকাতা: শীতের সময় হরেকরকম উৎসবে মশগুল থাকে বাঙালি। শীত মানেই মেলা, খেলা, সারাবেলা! সকাল হোক বা দুুপুর! শীতের বেলায় মেলাময় গোটা রাজ্য। আর বাঙালি হল মৎস্যপ্রেমী। কবি ঈশ্বর গুপ্ত আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘ভাত-মাছ খেয়ে বাঁচে বাঙালি সকল/ ধানে ভরা ভূমি তাই মাছ ভরা জল।’ শুধু বাঙালিই নয়, পৃথিবীর আরো অনেকেই কিন্তু মাছ খেয়ে বেঁচে আছে। গরম ভাতে
মাছ ছাড়া কি আর রোচে তাদের? এক ছাতার তলায় যদি হরেক রকম মাছের পদের সন্ধান মেলে তবে বাঙালি হামলে তো পড়বেই। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত পড়তেই নলবনে উদ্বোধন হল ‘বেঙ্গল ফিশ ফেস্ট’-এর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী অসীমা পাত্র, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তিনদিন ব্যপী এই ফিশ ফেস্টের মিডিয়া পার্টনার থাকছে আরপ্লাস নিউজ। প্রতিবারের মতো এবারও ‘বেঙ্গল ফিশ ফেস্ট’-এ রকমারি মাছের পদ নিয়ে হাজির হয়েছে বহু স্টল। মাছের চপ, কাটলেট, ফিশ ফিঙ্গার, জিঞ্জার প্রন, আরও কত রকম লোভনীয় মাছের পদের গন্ধে এখন মঁ মঁ করছে গোটা নলবন চত্বর। এই মেলায় রসনা তৃপ্তির নানা রকম সম্ভার আপনার জিভে জল আনবেই। অনেক দিন ধরেই রাজ্যে ইলিশ মাছের চাষের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বিধাননগরের ভেড়িগুলিতে প্রচুর মাছ চাষের সম্ভবনা রয়েছে। সেদিকে এবার নজর দিতে চলেছে রাজ্য মৎস্য দফতর। এছাড়া চার কেজি মাপের মাছ উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছে রাজ্যের মৎস্য চাষীরা। আগামী দিনে রাজ্যের মৎস্য চাষীদের আরও উৎসাহীত করতে সরকারের উদ্যোগে মৎস্য মেলা কার্যকারী ভুমিকা পালন করতে চলেছে। তাই দেরী না করে ছুটির দিন দেখে হাজির হয়ে যান খাঁটি বাঙালির মাছের উৎসব ‘বেঙ্গল ফিশ ফেস্ট’-এ।