বারাসত: ২৩ তম রাজ্য যাত্রা উৎসবের সূচনা, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসসহ একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে শুক্রবার বারাসতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে ১০% সংরক্ষণের বিল সহ একাধিক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” চাকরি নেই তার আবার সংরক্ষণ! দেশে দু কোটি লোককে বেকার করেছেন মোদী।” পাশাপাশি রাজ্যে চল্লিশ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে বলে এদিন বারাসতের মঞ্চ থেকে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে অবগত না করেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। সম্প্রতি দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিব্র তরজা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। বারাসতের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ” দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে আয়করের নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেন? বাংলার দুর্গাপুজোকে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনগন আয়কর দেবে, আর সেই টাকা লুঠ করবে কেন্দ্র”। প্রসঙ্গত, দেশে নোটবন্দির পরে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রে মোদী সরকারকে ফের একবার দায়ী করেন তিনি। দেশে কোনও আইনি শাসন নেই। দেশ ভাঙার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি”। এদিন দেশ বাঁচাতে বিজেপিকে ভাঙার ডাক দিলেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে সরকার গঠনের পর নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো উদ্বোধন, ব্যারাকপুর সহ অন্যান্য অঞ্চলে মেট্রোর কাজের সূচনা এবং একাধিক উড়ালপুল ও দক্ষিণেশ্বর স্কাই ওয়াকের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। জেলায় জেলায় যোগাযোগের উন্নতির সহ রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলায় উন্নয়ন এসেছে, মানবিকতার সভ্যতাকে ধরে রাখতে এদিন সভামঞ্চ থেকে আরও একবার কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গব্বর সিং’, ‘জব্বর সিং’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“দেশ ভাঙার চক্রান্ত চলছে” কেন্দ্রকে তোপ মমতার
