ওযেব ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও কল টাইম নয়। ছকে বাঁধা সাক্ষাতকার থেকে একটু আলাদা। এক কথায় বলতে পারেন আনপ্ল্যানড ইন্টারভিউ। তাই প্রশ্নরাও বেশ স্বাধীন। ফোনের ওপারে রিং হতেই কন্ঠস্বর ভেসে এল ‘হ্যালো’। শুরু হল ইন্টারভিউ সেশন।
আরপ্লাস ওয়েব: তাহলে ইন্টারভিউ শুরু করা যাক?
অরিত্র: হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।
আরপ্লাস ওয়েব: শীতের মরসুম কমবেশি সকলেরই প্রিয়। তবে শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠা বেশ কষ্টদায়ক। কিন্তু শীত বলতেই কোথাও একটা নস্টালজিয়া কাজ করে। তোমার কাছে শীতের সকাল বা শীতের নস্টালজিয়া কি?
অরিত্র: শীত মানেই অন্যরকম একটা অনুভূতি। গরমকালের তুলনায় শীতকালে আমরা একটু বেশি এনজয় করতে পারি। কেননা, শীতকালে পিকনিক, নান রকম অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তাছাড়া শীতকালে এনার্জি লেভেলও অনেক মাত্রায় বেশি থাকে। তবে সব থেকে কষ্টকর শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠা। প্রচন্ড ঠান্ডায় কম্বল থেকে বেরোনো ইজ ভেরি ডিফিক্যাল্ট। কিন্তু একবার কম্বল ছেড়ে উঠে গেলে তারপর আলাদা আমেজ তৈরি হয় শীতের সকাল জুড়ে। গোটা দিনটা তখন রিদিমিক হয়ে ওঠে।
আরপ্লাস ওয়েব: চূড়ান্ত কাজের ব্যস্ততার মধ্যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান কিভাবে করো?
অরিত্র: আমি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ফ্যামিলি মেম্বার বা খুব কাছের কোনও বন্ধুর সঙ্গেই করে থাকি। তবে ওরা আমার কাজের সিডিউল জানে বলে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করতে অসুবিধা হয় না। অনেক সময় লাস্ট মিনিটে প্ল্যানিং ক্যানসেলও করতে হয়েছে। তবে শীতকালে বিশেষ বিশেষ দিনে প্রোগ্রাম থাকায় আলাদা করে সেই দিনগুলোয় প্ল্যান করা হয়ে ওঠে না। অনেক ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের জন্য এমন জায়গায় যেতে হয় যেখানে আগে কোনও দিনও যাওয়া হয়নি। তাই এভাবেও আমার অনেকটা ঘোরা হয়ে যায়। গানে, আড্ডায় ঘুরতে ঘুরতেই আমার এনজয়মেন্ট।
আরপ্লাস ওয়েব: টেলিভিশনের একটি বিশিষ্ট গানের রিয়েলিটি শো-তে যখন তোমার নাম প্রথম ঘোষণা করা হল সেই মুহুর্তের অনুভূতি ঠিক কিরকম ছিল?
অরিত্র: এই অনুভূতির কথা মুখে বলে প্রকাশ করা যায় না। এটা একটা লাইফটাইম অনুভূতি। আই ওয়াস দ্য ফার্স্ট ফাইনালিস্ট। সেদিনের মঞ্চে আমরা ছ’জন ছিলাম। তাদের মধ্যে আমার নাম প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই মঞ্চে আমিই যে প্রথম ফাইনালিস্ট হিসাবে চান্স পেয়েছিলাম। এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা মুহুর্ত। স্বপ্নের কাছে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া ছিল।
আরপ্লাস ওয়েব: প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। তারপর চাকরি। কিন্তু হঠাৎ স্ট্রিম চেঞ্জ। ইঞ্জিনিয়র থেকে গান-বাজনার জগৎ। একেবারে দুটি ভিন্ন পথ। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব একটা সহজ কাজ হয় না। এই জার্নি তোমার কাছে কতটা সুগম বা দুর্গম ছিল?
অরিত্র: এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্যি খুব সহজ নয়। দুটি বিষয়ের আলাদা অধ্যবসায়। আমার ছোট থেকেই সঙ্গীত চর্চার অভ্যাস। চাকরি করতে করতে কোথাও যেন সেই চর্চা থেকে সরে যাচ্ছিলাম আমি। তাই গানে ফিরে আসার পরিকল্পনা করি। তবে একটা সময় চাকরি বজায় রেখে গান ধরে রাখা খুব অসম্ভব হয়ে উঠছিল। তাই ভেবেছিলাম চাকরিটা এখন বন্ধ রেখে গানেই ফোকাস করব। আর ঠিক তখনই টেলিভিশনের একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-এর অডিশন চলছে শহরে। তখন আমার বাবা-মা দুজনেই অডিশন দিতে বলে। এই জার্নিতে আমার বাবা-মা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে গেছে।
আরপ্লাস ওয়েব: কবে বিয়ে করছো?
অরিত্র: (হাসতে হাসতে) আপাতত কোনও প্ল্যান নেই। সামনে দু-তিন বছরেও কোনও প্ল্যান দেখতে পাচ্ছি না।
আরপ্লাস ওয়েব: এই মুহুর্তে কি কি কাজ করছো?
অরিত্র: এখন টেলিভিশনের কয়েকটা কাজ হাতে রয়েছে। ডিসেম্বর মাসে আমার একটা গান রিলিজ করেছে। এছাড়া আরও কিছু কাজ এখনও চলছে।
আরপ্লাস ওয়েব: এবার একটু ব়্যাপিড ফায়ার গেমে যাবো।
অরিত্র: হ্যাঁ, হ্যাঁ (হাসতে হাসতে)।
আরপ্লাস ওয়েব: বই না ভ্রমণ?
অরিত্র: ভ্রমণ।
আরপ্লাস ওয়েব: বিরিয়ানি না মাছ-ভাত?
অরিত্র: মাছ-ভাত।
আরপ্লাস ওয়েব: কোনও পোষ্য রয়েছে?
অরিত্র: না।
আরপ্লাস ওয়েব: সেরা সিনেমা?
অরিত্র: থ্রি ইডিয়েটস।
আরপ্লাস ওয়েব: সেরা উপহার?
অরিত্র: মা-বাবা।
আরপ্লাস ওয়েব: শেষ প্রশ্ন, আরপ্লাস ওয়েব পোর্টালের পাঠকদের জন্য কোনও বার্তা?
অরিত্র: অভিনব ভাবনায় নতুন একটা প্ল্যাটফর্ম। নিজের জীবনের কিছু কথা, বেড়ে ওঠার গল্প আরপ্লাস ওয়েব পোর্টালের পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে নিজের খুব ভালো লাগছে। সবসময় ফ্যানেদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা সম্ভব হয় না। আরপ্লাস ওয়েবের মাধ্যমে এখন সেটাও সম্ভব। আরপ্লাস ওয়েব এখন হাতের মুঠোয়। আগের থেকে আরও দ্রুত খবর পৌঁছে যাবে পাঠকদের কাছে। আরপ্লাস ওয়েবের জন্য সাফল্য কামনা করি।