ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে একে একে বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেছেন। সমাবেশে শুরুতেই গুজরাটের প্যাটিয়ালি নেতা হার্দিক প্যাটেল এর বক্তব্য দিয়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করার আমন্ত্রণ জানানো হল। সংবিধানকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে। ব্রিগেডের সমাবেশে বিপুল জনপ্লাবনকে উজ্জীবিত করতে হার্দিক প্যাটেল সভায় স্লোগান তুলে বলেন- ” সুভাষ বসু লড়াই করেছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। আর বাংলা লড়াই করছে চোরেদের বিরুদ্ধে”। এক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশের মঞ্চ থেকে দলিত নেতা জগনেশ বলেন- ” তাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমাবেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন গুজরাটের দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি। এদিন ব্রিগেডের সভা থেকে ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন- “দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিচ্ছে। তাই আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হয়েছে। দেশে দলিত ও আদিবাসীরা অত্যাচারীত। দেশের পক্ষে বিপদজনক সময় চলছে। ভারতের জনতা পার্টিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে হবে। ” সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশ মঞ্চে। তিনি এদিন বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন- “আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হতে হবে। অরুণাচল প্রদেশে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত। উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐক্যকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্ঠা চলছে। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস গড়বে এই সমাবেশ। দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”