দিল্লি: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপির অন্দরে তৎপরতা তুঙ্গে। রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী বিজেপির জাতীয় পরিষদের বর্ধিত অধিবেশন। এই অধিবেশনের শেষে দলের বাংলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখনও আইনি জটে আটকে বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি। আগামী ১৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ভোটের আগে বিরোধী দলগুলিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। জনসংযোগের ভীত আরও মজবুত করতে ১৬ জানুয়ারি শিলিগুড়ি আসার কথা অমিত শাহর। আবার ২৯ জানুয়ারি রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। এদিকে রাজ্য বিজেপির তরফে ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের রণনীতি থেকে বিরোধীদের আক্রমণের মূলমন্ত্র সর্বোপরি এই বর্ধিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশনেই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিতে চলেছে গেরুয়া বাহিনী। এই অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিজেপি ও জেলা স্তরের নেতৃবৃন্দ। বাংলা থেকে উপস্থিত রয়েছেন ৬২৮জন প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল সিনহা,মুকুল রায়,দিলীপ ঘোষ,সুব্রত চট্টোপাধ্যায়,সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। এই অধিবেশনে দেশজুড়ে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৯ হাজার বিজেপি কর্মী।