কলকাতা: একদিকে অনশন, অন্যদিকে উপাচার্যকে ঘেরাও। তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ক্রমেই বৃস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্সি কলেজ। এর আগে হিন্দু হোস্টেলের দাবিতে সমাবর্তনের দিন কলেজের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় কলেজের পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন অন্যত্র সরাতে হয়। সেই ঘটনার তদন্তের পর এই ৩ জন ছাত্রকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জেরেই অনশন আন্দোলন শুরু হয়। শুক্রবার থেকে অনশনে বসে ৬ জন পড়ুয়া।
পাশাপাশি বুধবার দুপুর থেকে রাতভর উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে রাখা হয় কলেজ ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বদল না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচী চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে পড়ুয়ারা। তবে এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বলেই জানিয়েছে পড়ুয়ারা। উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেছেন, ওই ৩ পড়ুয়া তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে তবে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের বদল নিয়ে বিবেচনা করতে পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও পড়ুয়াদের তরফে দাবি এভাবে কোন ছাত্রকে সাসপেনশনে সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণ অগণতান্ত্রিক।
তবে তাদের আন্দোলনের জেরে পঠনপাঠনের ক্ষতি হলে তার জন্য ক্ষমা চাইবে এমনটাই জানিয়েছে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তবে সাসপেনশন প্রত্যাহার না হলে এই আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা। হিন্দু হোস্টেলের দাবিতে প্রেসিডেন্সির ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নরম হয়ে সময়ের মধ্যে হিন্দু হোস্টেলের মেরামত শেষ করে থাকার ব্যবস্থা করা হয় ছাত্রদের। এবার সেই আন্দোলনে জরিত ছাত্রদের মধ্যে ৩ ছাত্রকে সাসপেনশনে পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া ফের উত্তপ্ত হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ।