কলকাতা: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০১৬ সালে ১৩ জানুয়ারি ভোরবেলা বেপরোয়াভাবে প্রচণ্ড গতিতে রেড রোডে ঢুকে পড়েছিল একটি অডি গাড়ি। সেই মুহুর্তে সেখানে চলছিল সাধারণতন্ত্র দিবসের মহড়া। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ায় গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের মহড়ায় উপস্থিত বায়ুসেনাকর্মী অভিমন্যু গৌড়কে ধাক্কা দিয়েছিল নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়িটি। প্রচন্ড গতিতে আসা অডি গাড়ির ধাক্কায় প্রায় কুড়ি ফুট দূরে ছিটকে পড়েছিলেন অভিমন্যু। মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এই ঘটনার পর তিন বছর কেটে গিয়েছে। সেদিন চালকের আসনে বসে থাকা মূল অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতা মহম্মদ সোহরাবের ছেলে সাম্বিয়ার ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এই বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রেড রোডে বায়ুসেনাকর্মীর মৃত্যু মামলার শুনানি চলে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। টানা ১ বছর ১৪ দিন ধরে শুনানিতে ৫১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হল সাম্বিয়া সোহরাবকে। তবে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা থেকে অব্যহতি হয়েছে তার। ৩০৪-এ ধারায় অভিযুক্ত সাম্বিয়ার সর্বোচ্চ সাজা হওয়ার কথা ২ বছরের জন্য, এবং ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে যেহেতু ইতিমধ্যে ৩ বছর তার কারাবাস হয়ে গেছে তাই জরিমানার টাকা দিতে পারলেই মুক্তির সম্ভবনা থাকছে। আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার রায়ে তথ্য প্রমানের অভাবে বেকসুর খালাস হয়েছে সাম্বিয়ার দুই সঙ্গী সোনু, জনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক শীঘ্রই এই ধরনের মামলার বিচার হয়েছে। এই মামলার মূল অভিযুক্ত তৌসিফ সোহরাব ওরফে সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৭ ধারায় খুন ও খুনের চেষ্টা এবং ১৯৪ বাই ১১৫ মোটর ভেহিক্যালস আইনে পর্যাপ্ত কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার দিন বায়ুসেনাকর্মী অভিমন্যু গৌড়কে ধাক্কা দেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যায় গাড়িটি। চালকের আসনে ছিল অভিযুক্ত সাম্বিয় সোহরাব। ওই গাড়ির পিছনে একটি স্কোডা গাড়িতে ছিল তার দুই সঙ্গী জনি ও শানু। ঘটনার পর তার দুই সঙ্গী সাম্বিয়াকে পার্ক স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। এর পর শানু ও সাম্বিয়া মিলে অন্য একটি গাড়ি করে শহরের বাইরে খড়গপুরে পালিয়ে যায়, প্রথমে ঝাড়খণ্ড ও পরে সেখান থেকে দিল্লি পালিয়ে যায় তারা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দিল্লি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ সাম্বিয়াকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ শুনানির পর মামলার রায়দানে ঘটনার গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে করছেন মৃত অভিমন্যুর পরিবার।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.
Recent News
- এবার নিউটাউনে জমি দখল করে একাধিক পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে! চিহ্নিত করে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ
- হাইকোর্টের নির্দেশ সামাজিক সম্মানহানি! অনিশ্চয়তার অন্ধকারে যোগ্য চাকরিজীবীরা। এবার তারাই শীর্ষ আদালতের পথে।
- হাইকোর্টের রায়ে খুশি নয়, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন
- রায় নিয়ে জোর তরজা অভিজিৎ কল্যাণের
- ঘাটাল ও মেদিনীপুর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল