নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে এই দফার শেষ বাজেট অধিবেশনে গদি ধরে রাখতে কল্পতরু মোদী সরকার। এদিন অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন। লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টায় কোনো খামতি রাখল না মোদী সরকার। এদিন মোদি সরকারের বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন ও কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন পীযূষ গোয়েল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেশে ১.৫৩ কোটি বাড়ি নির্মান সম্ভব হয়েছে ২০১৪-১৮ সালের মধ্যে ৷ আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি সড়ক নির্মান সম্ভব হয়েছে গ্রামাঞ্চলে ৷ বিগত ৫ বছরে উন্নয়নের যে জোয়ার এসেছে তা তুলে ধরেন পীযূষ গোয়েল। তিনি আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধির হারও অনেকটাই কমেছে ৷ ইতিমধ্যেই গরীব মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে কেন্দ্র ৷ ২০১৯ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে গ্রামীণ সড়ক যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের এর আওতায় দেশের ৫০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন৷ ফলে দরিদ্র মানুষের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় হবে৷ এর পাশাপাশি তিনি বলেন,অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকার কম বেতনে মিলবে মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন। ১ কোটি যুবককে জীবিকা অর্জনের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উজ্জ্বলা যোজনায় আগামী বছরে ৮ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। যাযাবরদের জন্য তৈরী হবে ওয়েলফেয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড। এর পাশাপাশি ২০৩০-র মধ্যে সব ভারতীয়র জন্য পরিস্রুত পানীয় জল,স্বচ্ছ নদী। এমনকি প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে পৌঁছবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। এবং উল্লেখ্য ২০৩০-র মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামীণ শিল্পায়ন। এদিন দেশের করদাতাদেরও বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁদের করের টাকায়, গরিবদের শৌচাগার, রান্নার গ্যাস, স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গ্রাম ও শহরের অর্থনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ, এমনটাই বলেন পীযূষ গোয়েল।