Date : 2024-04-19

বানতলার চর্মশিল্প সংস্থাকে জমি দিলেন শিল্পমন্ত্রী

বানতলা : এশিয়ার বৃহত্তম চর্ম নগরীর হাল ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহন করল রাজ্য সরকার। চর্ম নগরীতে বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী কখনো ছুটে গেছেন দেশের নামী শিল্পসংস্থার কাছে আবার কখনো ইতালিতে আবেদন করেছেন রাজ্যের চর্ম শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য। সেই রেশ ধরে রাখতে সরকারি ভাবে লেদার কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠান করে ট্যানারি মালিকদের হাতে জমি তুলে দিলেন রাজ্যের শিল্প তথা অর্থ মন্ত্রী অমিত মিত্র । বিশ্বের সব থেকে বড় লেদার সেক্টর কলকাতায় গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, অনুষ্ঠানের শেষে এমনটাই জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি আরোও বলেন, এই চর্মনগরীতে বর্তমানে ৩ লক্ষ মানুষ কাজ করে। ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়েছে খুব শীঘ্রই এই সংখ্যা ৬ থেকে ৭ লক্ষ হয়ে যাবে। শিল্প মন্ত্রী কে যোগ্য সহায়তা করেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান । এদিন লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খান বলেন, বানতলা চর্মনগরীতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ কাজ করেন।

জাভেদ খান এবং তার ছেলে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ লেদার কমপ্লেক্স কে নয়া রুপে গড়ে তুলেছে। এই চর্মনগরী কে ঢেলে সাজাতে ৫৪০ কোটি টাকা খরচ করে একাধিক প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ টি সিইটিপি বা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য ১৮০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। উল্লেখ্য বাম সরকারের আমলে কেটে দেওয়া হয় চর্ম নগরীর বিদ্যুতের সংযোগ। সেই সময় তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমিদান অনুষ্ঠানে এদিন অমিত মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,শিল্প দপ্তরের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, বিধায়ক সওকাত মোল্লা, বিধায়ক তথা ডালমিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার বৈশালি ডালমিয়া, শিল্পপতি রমেশ কুমার জুনেজা সহ বিশিষ্ট শিল্পপতিরা। এছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক মিনাল রানো এবং ভাঙড় থেকে উপস্থিত ছিলেন আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, শাজাহান মোলা।