ওয়েব ডেস্ক: সমগ্র পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর একভাগ স্থল। তাই স্থলভাগের চেয়ে জলভাগ অধিকতর রহস্যপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ, আগ্নেয়দ্বীপ সবচেয়ে মনোরম এবং স্বাস্থ্যকর। তবে পৃথিবীর সব দ্বীপই কি তেমনই! এই জলভাগ বা সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জ গুলি যতই সুন্দর ততই রহস্যপূর্ণ এর পরিবেশ। কোথাও বা ভয়ানক জন্তুর ভয়, কোথাও অবৈজ্ঞানিক ঘটনার রহস্যের ফাঁসে আটকে আছে মসুদ্রপৃষ্ঠের বহু দ্বীপ। সমুদ্রপৃষ্ঠে এখনো অনেক দ্বীপ আছে যেখানে মানুষ তো দূরের কথা কোন পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছতে সাহস পায় না। সেসব দ্বীপ রহস্য এখনো অজানা মানুষের কাছে। রহস্যপূর্ণ দ্বীপের নাম শুনলে প্রথমেই মনে পরে বারমুডা দ্বীপের কথা। কিন্তু বারমুডা দ্বীপের মতোই আরও একটি রহস্যময় দ্বীপ আছে যার নাম বাল্ট্রা। দক্ষিণ অমেরিকার ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের মধ্যেই অবস্থান করছে এই দ্বীপটি। মোট ১৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপপুঞ্জটির মধ্যে সবচেয়ে রহস্যপূর্ণ দ্বীপ বাল্ট্রা। এই দ্বীপে কাজ করেনা মানুষের তৈরি বৈজ্ঞানিক তত্বের কোন হিসেব নিকেষ। পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ তো বটেই এই দ্বীপে পড়ে না বৃষ্টির একটি ফোঁটাও যা তাজ্জব করার মতো বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এই দ্বীপে ঘাঁটি গেড়েছিল মার্কিন সেনারা। তারাই প্রথম এই দ্বীপের অদ্ভুত অপ্রাকৃতিক নিয়মের সাথে পরিচিত হন। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ হওয়ায় এখানে প্রতিদিন বিকেলের পর প্রচুর বৃষ্টি হয়। কিন্তু অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয়, এক ফোঁট বৃষ্টিও স্পর্শ করে না এই দ্বীপকে। রহস্যজনক ভাবে বৃষ্টির সব ফোঁটা দ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে সমুদ্রের উপর পরে।গোটা দ্বীপে চোখে পড়বে না কোন গাছ পালা, বা লতা-গুল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ফ্রেন্সিস ওয়ানার যুদ্ধ থেকে ফিরে মার্কিন পত্র-পত্রিকায় এই দ্বীপ সম্পর্কে লিখে গেছেন। তাঁর কথায়, এই দ্বীপে থাকার সময় মানুষের মাথা হালকা হয়ে যায়। বাল্ট্রাতে এলেই অস্বাভাবিক আচরণ করে নাবিক বা অভিযাত্রীর কম্পাস। সবসময় উত্তর দক্ষিণ দিক-নির্দেশকারী কম্পাস এখানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না। আবার দ্বীপ পার হলেই সব ঠিক। বেশিক্ষণ বাল্ট্রায় থাকলে মানুষের হারিয়ে যাওয়ার অনুভুতি হয়। মস্তিষ্ক ক্রমশ বিকল হতে শুরু করে। উড়ন্ত পাখি বাল্ট্রার কাছে এসে ফিরে যায়। কোন এক অদৃশ্য প্রাচীর এখানে অবস্থান করছে সমুদ্র ও ভূমি ভাগকে ঘিরে। তবে এখানে বারমুডার মতো কোন জাহাজ বা প্লেন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি বা ঝড় ঝঞ্ঝাপ্রবন অঞ্চল নয় বাল্ট্রা দ্বীপ। তবে কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই দ্বীপের কাছে এসে বৃষ্টির ফোঁটাও ফিরে যায়। অবশ্য এরিক ফন দানিকেন ও তাঁর অনুসারীরা যথারীতি তাদের স্বভাব সুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে সেই পৃথিবীর বাইরের ভিন্নগ্রহের তথাকথিত মানুষদের টেনে এনেছেন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক দূর। মানুষ মহাকাশচারী এমনকি ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান করছে। তবুও এই পৃথিবীর বুকেই অনেক এন রহস্য আছে যার উদঘাটন করতে পারেনি। পৃথিবীর মধ্যে অবস্থিত এই দ্বীপের রহস্য রয়ে গেছে অপূর্ণ।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.
Recent News
- অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসরের চাকুরির জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউজিসি।
- মোহনবাগান সমর্থকদের মিষ্টি মুখ করাতে এবং ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নে 50 লক্ষ টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে
- দুর্গাপুরে একই পরিবারের চার জনের রহস্যমৃত্যুতে হাইকোর্টে মামলা।
- শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
- লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। এক মাসে সাত সভা অভিষেকের