ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত পাক ম্যাচ নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনার পর এবার অলিম্পিকে তিন পাকিস্তানি শ্যুটারকে ভিসা না মঞ্জুর করার অভিযোগ উঠল ভারতের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এই অভিযোগ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মহলে জানানোর পর ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পুলওয়ামা কান্ডের জেরে ভারত পাকিস্তান বৈদেশিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। আর তারই প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এমনকি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই হামলার সঙ্গে সরাসরি পাকিস্তান জড়িত বলে মেনেও নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের বদলে কুটনৈতিক ভাবে পাকিস্তানকে পরাজিত করতে ক্রমশ পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। তবে পাকিস্তানি শ্যুটারদের ভিসা বাতিল করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেছে ভারত, তাই লিখিত ভাবে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বাস দিতে হবে। তবেই ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারবে ভারত। পাশাপাশি কমিটির পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, এনিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহল।
এছাড়া পুলওয়ামা কান্ডের জেরে ভারতে আসতে চাইছে না পাকিস্তানি শ্যুটাররা। পুলওয়ামা কান্ডের জেরে ভারতে আসলে প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পাকিস্তানি শ্যুটারদের। মাত্র তিন সদস্যের শ্যুটারদের দল এখানে পাঠানোর কথা ছিল পাকিস্তানের। দুই শুটার মহম্মদ খালিল আখতার এবং গুলাম মুস্তাফা বশির সঙ্গে কোচ রাজি আহমেদের আসার কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু জঙ্গি হামলার পর এঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসে পাকিস্তান। কিন্তু, যুক্তি হিসাবে দেরিতে ভিসা আসার কথা জানানো হল আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহলকে। এর ফলে তীব্র চাপান উতোর শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এদিকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে পাকিস্তানকে ছেঁটে ফেলার আর্জি জানিয়েছে ভারত তারই পাল্টা চাল এনই ঘটনা বলে মনে করছে ক্রীড়া মহল। আন্তর্জাতিক শুটিং ফেডারেশনকে তারা জানায়, ২৫ মিটার র্যাপিড ফায়ার পিস্তলের জন্য যে কোটা আছে, তা যেন বাতিল করা হয়। আইওসির কাছে পাঠানে হয় এই আবেদন। ঘটনার জেরে অলিম্পিক কমিটি জানায়, শ্যুটিং বিশ্বকাপে এই ঘটনা ঘটায় ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য যে ১৬টি কোটার প্রস্তাব রেখেছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি, তা ভারতের থেকে তুলে নেওয়া হল। অলিম্পিক কমিটির সাফ কথা, খেলার ক্ষেত্রে কোন রকম কূটনৈতিক বা বৈদেশিক নীতি প্রয়োগ করা যাবে না। ক্রীড় জগৎ কখনোই রাজনৈতিক রণাঙ্গন হতে পারে না এমনটাই অভিমত অলিম্পিক কমিটির।