ওয়েব ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের গেরোয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে পর্ষদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার গোপনীয়তা রক্ষার ভুমিকা নিয়ে। ১২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরুর দিন এক ঘন্টার মধ্যেই হোয়াটস অ্যাপের একটি গ্রুপে ফাঁস হয়ে যায় বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্র। মুহূর্তে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে হোয়াটস আ্যাপ থেকে ফেসবুকে। ঘটনার জেরে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এমনকি পরের দিন ইংরাজীর প্রশ্নপত্রও ফাঁস হতে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পর্ষদের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। তদন্তকারী অফিসারদের তরফে সন্দেহ করা হয় এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের পিছনে গোটা রাজ্য জুড়েই কাজ করছে বড়সড় চক্র। এরপরেই প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-এর হাতে। রবিবার গোটা রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালানোর পর ৫ জনকে আটক করে গোয়েন্দারা। তাদের জেরা করে উঠে আসে আরও তিনজনের নাম।
সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতদের নাম শাবাউল আমির, ও শাবাজ মন্ডল। শাবাউল মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। এই দুজনই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরোও দুজন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত থাকার ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কীভাবে বার বার ঘটছে এই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা? সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে চলত প্রশ্ন ফাঁসের চক্র। ঘটনার অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর পরেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপের গ্রুপে শেয়ার করত। এর পরেই প্রশ্নের উত্তরসহ ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন গ্রপে। এর ফলেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এখনো পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে তারা ছাড়া আরোও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে গোয়েন্দা দফতর। ধৃতদের জেরা করে তাদের সন্ধান পেতে পারে এমনটাই মনে করছে সিআইডি। তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের উৎপত্তি কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পর্ষদের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।