কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই প্রচারের আসরে নেমে পড়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচনী কমিটি। নির্বাচন কমিটির সদস্য হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস সহ দলের শীর্ষ নেতারা। লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ নিয়ে জল্পনা ছিল প্রথম থেকেই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সেই জল্পনা বাস্তবায়িত হল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অনেকের নাম।
তার মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী সুব্রত বক্সি লড়ছেন না দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে। ভোটে লড়াই করার থেকেও তিনি দলের সাংগঠনিক কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত। তার জায়গায় এবার দক্ষিণ কলকাতায় নতুন মুখ মালা রায়। কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন হওয়ার পাশাপাশি তিনি ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৫ বছরের কাউন্সিলর। তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী হিসাবে তিনি এবার লড়াই কলছেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে প্রচারে নেমে গেলেন তিনি। বুধবার সকালেই দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন মালা রায়। এদিন তাঁর দেওয়াল লিখনের সময় উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতই তিনি লড়াই করবেন। এলাকায় দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর হিসাবে তিনি মানুষের কাছে পরিচিত মুখ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র লড়াই করেছিলেন। এদিকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুগত বসু। তার স্থানে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন টলিউডের জনপ্রিয় তারকা মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে দেওয়াল লিখনের কাজে নামেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।