কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে বুধবার তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে ২০১৯ লোকসভা ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজার্ভারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী একটি ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেন, আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে যোগদানকারী অফিসারকে স্পেশাল অবসার্ভার হিসেবে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝড়খন্ডের কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও থাকছেন প্রাক্তন ডিজি কে কে শর্মা। লোকসভা ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে খাকি উর্দি পরে যাওয়াকে সরকারি কর্তব্যের অবমাননা বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একজন আরএসএসের প্রোগ্রামে গেলেন আর পর্যবেক্ষক হয়ে গেলেন! এটা কি করে হয়? মালদহেও একজনকে পাঠানো হয়েছে। যে সব ফোর্সকে এখানে পাঠানো হচ্ছে আর তারাই বিজেপির হয়ে কথা বলছে। হি ইজ আরএসএস ম্যান।” এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইছে নিজেদের সুবিধার্থে এমন অভিযোগ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। অন্যদিকে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু কেন্দ্রীয় পুলিশি পর্যবেক্ষক সম্পর্কে জানিয়েছেন, কে কে শর্মা বাহিনী মোতায়েন বিষয়ে দেখভাল করবেন। তবে নিরপেক্ষতার বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী স্বামী কে কে চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব। তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তাঁর ফোন ট্র্যাপ করে গোপন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এমন বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা।