মুর্শিদাবাদ: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজ পাঠ পড়েছেন? প্রাইমারি স্কুলের সেই বইটির মতোন আরেকটি সহজ পাঠ আসতে চলেছে। গুটি পিসির সহজ পাঠ। লেখক ভারতের নির্বাচন কমিশন। না, কোন রাজনৈতিক বই নয়। ভোটদান ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষের অধিকার। সেই অধিকারের মর্যাদায় দৃষ্টিহীন ও শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষের কথা মনে করে এই পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে নির্বাচন কমিশন। দৃষ্টিহীন বা শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষের ভোটাদান প্রক্রিয়াকে সহজ করতে ও ভোটদান কক্ষে আনতে বিশেষ প্রচারে নামছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠে যেমন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণে ব্যাখ্যা করা আছে খেলের ছলে। ঠিক তেমন ভাবেই তৈরী হয়েছে গুটি পিসির সহজ পাঠ। একজন ম্যাসকট রাখা হয়েছে প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যে দৃষ্টিহীন ও শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষকে গুটিগুটি পায়ে নিয়ে যাবে ভোট দান কক্ষে। এই ম্যাসকটের নাম গুটি পিসি। কিন্তু কে এই গুটি পিসি? তার পরিচয় জানতে গেলে নির্বাচন কমিশন বলেন, একটি সয়ংক্রিয় ম্যাটের মাধ্যমে একজন দৃষ্টিহীন মানুষ বা শারিরীকভাবে অক্ষম মানুষ বুথে প্রবেশ করার পর থেকে কিভাবে ভোট দেবেন ও বেড়িয়ে যাবেন তা বোঝা যাবে।

শুধু মুর্শিদাবাদে নয় রাজ্যের সব জেলাতেই এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক জেলার এক বা দুই জায়গায় হবে ওদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ। যার মাধ্যমে ওরা নিজেরাই খুব সহজে শিখে নিতে পারবেন কিভাবে নিজের পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন প্রথম এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে রাজ্যে কতটা সফল হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এই পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে একজন দৃষ্টিহীন মানুষ বা শারিরীকভাবে অক্ষম মানুষ তার নিজের ভোট সহজেই দিতে পারবেন।