কলকাতা: লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর শহরে এলেন উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
শনিবার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে সর্বদলীয় বৈঠক করেন তিনি।
জাতীয় ও রাজ্য স্তর মিলিয়ে ৯টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সবকটি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা।
এই প্রসঙ্গ ফের তুলে আনেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
তিনি বলেন, “২০১১ সালে তথ্য দিয়ে মমতা যা বলেছেন আমিও একই প্রসঙ্গে রাজ্যে প্রতিটি বুথকে সেন্সেটিভ ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে ভরসা না করে নিজের দায়িত্বে ভোট করুক।
এই দাবিকে নস্যাৎ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাজ্য উন্নয়ন ও ছলচাতুরি দিয়ে জেতার চেষ্টা করছে বিরোধীদলগুলি।
সুপ্রিমকোর্টে নথি দিয়ে রাজ্য প্রমান করে দিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের পর। বিজেপির সুপার সেন্সেটিভ বুথ-এর প্রসঙ্গকে তিনি কটাক্ষ করেন।
উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ ও সিপিআইএম নেতা রবীন দেব, উভয়ই নির্বাচনে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। স্পর্শকাতর বুথ সংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে। কমিশনের মতে ২০১৪ সালে স্পর্শকাতর ভোটের সংখ্যা ৫০ শতাংশের কম ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে তা আরও ২০ শতাংশ কমে যায়, সুতরাং ২০১৯ লোকসভা ভোটে অশান্তির আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে কমিশন।