শিলিগুড়ি : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে রাজনীতির পারদ। শাসক বিরোধী উভয় শিবিরেই সংগঠনের শক্তি মেপে নিতে শেষ পর্যায়ে প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আজ শহরে বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সংগঠন। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য জুড়ে প্রচারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে একই দিনে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও সভা করেন নরেন্দ্র মোদী।
“ম্যায় ভি চৌকিদার” স্লোগান তুলে এদিন শিলিগুড়ির সভা থেকে রাজ্যের পাশাপাশি কংগ্রেসকেউ কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস সেনা বাহিনীর মনোবল ভাঙছে। বালাকোটের ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর সারা দেশ গর্বিত, কিন্তু বিরোধীরা সমালোচনা করে চলেছে।” তিনি আরও বলেন, এবার নির্বাচনে ইমানদার চৌকিদার একদিকে অন্যদিকে দাগীদার। এর পরেই তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে বলেন, এন আর সি নিয়ে বাংলায় গুজব রটানো হয়েছে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, সমস্ত ‘হিন্দু’ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে এই রাজ্যে। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশে গরিব না থাকলে দিদি রাজনীতি করতে পারবেন না। দিদি গরিবদের কথা ভাবেন না। পশ্চিমবঙ্গে গরিবদের নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। কৃষকদের সহায়তার টাকাও বন্ধ করেছেন দিদি।” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, দিদির নৌকা ডুবতে চলেছে, শিলিগুড়ির জনসভা তারই প্রমান। নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী সভা থেকে অভিযোগ করেন, চিটফান্ড কান্ডে গরিবদের টাকা লুঠ করেছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে শিলিগুড়িতে নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৪২ আসনের ২৩ টিতে জেতার লক্ষ্য মাত্রা রেখেছে বিজেপি।