ওয়েব ডেস্ক: কথায় বলে বাঙালির সব অসুখের ওষুধ নাকি তিনি রেখে গেছেন। জন্ম-মৃত্যু, প্রেম-বিরহ যেকোনো মুহূর্তের আবহ সুরে বেঁধেছেন তিনি বহু বছর আগেই। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর ১৫৮তম জন্মদিনে আজ বিশ্বভারতী, জোড়াসাঁকো বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্কুল-কলেজে, আজ শুধুই তিনি।
তবে যে বাঙালি সুদ্ধ বাংলায় দুলাইন কথা বলতে গিয়ে হোঁচট খায় ছ’বার, তাঁরও হোয়াটস্যাপ আর ফেসবুকের স্ট্যাটাসে আজ তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। জোড়াসাঁকোতে “চেকড ইন” বা “গীতবিতান” হাতে ডিপি, হতেই পারে একটা পাতাও উল্টে দেখা হয়নি তবু তিনি আজ মাস্ট। যে বাঙালি বাংলায় কথা বলতে লজ্জা পায়, সেই বঙ্গে তাঁর এমন মননহীন দেবত্ত্বপ্রাপ্তি তো বড়ই স্বাভাবিক।
সময় যত এগোচ্ছে ততই নাকি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বড্ড কঠিন নাকি তাঁর লেখা, তাই তো শিশুপাঠ্য থেকেও আজ তা ব্রাত্য। কচি মন আর পাতা উল্টোয় না কিশলয়ে। রবীন্দ্র রচনাবলী কি তবে একটা শো-কেসে রাখার শো-পিস? বছরকার মতো একটা দিনে শুধু আলমারি থেকে বের করে ধূলো ঝাড়বে বাঙালি?
রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন কী শুধুই একমাসের রিহার্সালে গান বা কবিতা আওড়ানো? যে বাবা-মা জন্মের পর সন্তান কথা বলতে শিখলে বাবা-মা’র বদলে মাম্মি-ড্যাডি বলতে শেখান, সে রবীন্দ্র মাহাত্ত্ব্য বুঝবে তা বোধহয় নিছকই কষ্ট কল্পনা। তবে কী একদিন সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবেন বাঙালির প্রাণের ঠাকুরও? থাক, আজকের দিনটা না হয় বাঙালি গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোই করুক…