ওয়েব ডেস্ক: অমিত শাহর রোড শো কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায় বই পাড়ায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে প্রতিবাদ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সেই আঁচ পৌঁছায় বিদ্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত। অমিত শাহর মিছিল বিদ্যাসাগর কলেজ পার করে যেতেই শুরু হয় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছাত্র সংসদের সদস্য ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধে তছনছ হয়ে যায় কলেজের আসবাবপত্র। ভাঙচুর করা হয় অফিস ঘর। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন বিদ্যাসাগরের মূর্তি মাটিতে আছড়ে ভেঙে ফেলা হয়। রাতের অন্ধকারে দুই দলের সমর্থদের মধ্যে বেনজির এই হামলায় কে জড়িত তা এখনও সামনে আসেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে চলছে পরস্পরকে দোষারোপের পালা। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে শেষদফা ভোটের মুখে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত, তখন বিষয়টির নিন্দা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়ল বিজেপি ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা। ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে তারা বললেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যদি আমাদের উদ্দেশ্য হত তবে কলেজ স্কোয়ারের মূর্তিটাই ভাঙতাম।” বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এবিভিপি দাবি করে, কলেজের ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকা টিএমসিপি ওই মূর্তি বাইরে নিয়ে এসে ভেঙেছে। মূর্তি ভাঙার দায় চাপাতে গিয়ে কলেজ স্কোয়ারে অন্য একটি মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনায় তীব্র নিন্দা করেছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি, রাম নাম করলে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে অমিত শাহের রোড শোয়ে কালো পতাকা দেখানোয় কেন গ্রেফতার করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছে এবিভিপি। এই ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি।