ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে নজিরবিহীন ভাবে রদবদল হল কলকাতা পুলিশের। তিনদিনে তিন বার বদলে গেল বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার। প্রথমে জ্ঞানবন্ত, তারপর নিশাত পারভেজ, মঙ্গলবার আবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভরতলাল মিনাকে নিয়োগ করা হল বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার পদে।
এছাড়াও ৪৩ জন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব বদলে দেওয়া হল। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে দিলেও তাকে ফের স্বপদে পুনর্বহাল করা হল রাজ্য প্রশাসনের তরফে। তাকে সরিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আনা হয় নিশাত পারভেজকে। ঠিক তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মঙ্গলবার বিধাননগর কমিশনরের পদে নিয়ে আশা হয় ভরতলাল মিনাকে।
বিধাননগর কমিশনারেটে তিনদিনে তিনজন পুলিশ কমিশনার বদল রাজ্য প্রশাসনিক কাঠামোতে নজিরবিহীন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জ্ঞানবন্ত সিংকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে আনা হচ্ছে। বর্তমান বিধানগরের পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা ছিলেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার। ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, হুগলি, হাওড়া, কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর ও জলপাইগুড়ি এই নটি জেলার পুলিশ সুপারকে বদল করা হয়েছে।
নিশাদ পারভেজকে আপাতত ডিআইজি সিআইডি অপরেশন পদেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনেও বদল করা হয়েছে পুলিশ সুপার। রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ-এ তিনটি নতুন পুলিশ কমিশনারেট করার বিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার বিশাল গর্গকে আইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্চ পদে নিয়ে আসা হয়েছে। তার বদলে বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি তন্ময় চৌধুরীকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার এসপি গৌরব শর্মাকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দীনেশ কুমার হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
সৌম্য রায়কে করা হয়েছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার হয়েছেন তথাগত বসু। মালদহের পুলিশ সুপার হয়েছেন অলোক রাজোরিয়া। নির্বাচন পরবর্তী সময় সারদা মামলা নিয়ে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি স্বচ্ছ করতে সিবিআই-এর নজরে এখন রাজ্য প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। ঠিক সেই সময়ই রাজ্য জুড়ে বেনজির ভাবে পুলিশের একাধিক পদে রদবদলে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।