ওয়েব ডেস্ক: “দেখিস তো কীরকম জামা-কাপড় পরে রাস্তায় বেরোয়! ও রেপ হবে না তো কে হবে?” বড্ড চেনা এই শব্দবন্ধ। যেকোনো অপরাধে মেয়েদের দোষী সাব্যস্ত করা খুব সোজা। হাঁটু খোলা পোশাক কেন? রাত ১০টায় বাড়ির বাইরে কেন? পুরুষবন্ধুর সঙ্গে মেলামেলা কেন?… তবু এই “কেন”র ভিড়ে মিশে না গিয়ে মেয়েরা যখন নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেয়েছে তখনও লড়াই তাদের পিছু ছাড়েনি। মেয়েরা বরাবরই পরাধীন। সময় এগিয়েছে, তবে বদলায়নি শুধু সমাজে মেয়েদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি। বরং মেয়েরা ক্রমে পরিণত হয়েছে ভোগ্যপণ্যে।
রোজ খবরের কাগজে দু-তিনটে ধর্ষণের ঘটনা আজ যেন বড্ড স্বাভাবিক। কিন্তু এই ধর্ষনের মূল কারণ কী? উত্তর খুঁজতে গিয়ে সেখানেও সেই দায়ী করা হয়েছে মেয়েকেই। সহজ সমাধান খুঁজতে নিশানা হয়েছে “স্কার্টসাইজ”।
তবে যে মেয়ে ধর্ষিত হয় বোরখা পরে, যখন পুরুষের বিকৃত কামের শিকার হয় কচি পাঁচ,সেখানে কী দায়ী করা যায় পোশাককে? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি কেউ, কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছে আসল সত্য।
সেই প্রশ্নই ফের একবার তুলতে চেয়েছে সম্প্রতি ব্রুসেলসে আয়োজন করা এক প্রদর্শনী। যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, ধর্ষিত হওয়ার সময় তাঁদের পরিহিত পোশাকগুলিকে রাখা হয়েছে সেখানে।
যে সমাজ ধর্ষণের পর ধর্ষিতার চরিত্র নিয়ে, পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে বারবার মানসিক ধর্ষণ করে ,তাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে এই প্রদর্শনী।