Date : 2024-04-25

রোজ ডিম খান? সাবধান! ডিমটা “প্লাস্টিক”-এর নয় তো?

ওয়েব ডেস্ক: তেলে, জলে, সব্জিতে সর্বত্রই এখন ভেজালের আঁতুর ঘর হয়ে গেছে। কিছু মুখে তোলার আগে মানুষকে ভাবতে হচ্ছে ১০০ বার। কিছুদিন আগে ভাগাড়ে মাংস তুলে এনে শহরের বড় বড় রেস্তোঁরা থেকে সরাসরি আপনার আমার প্লেটে তুলে দিচ্ছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। রাতারাতি সেই কান্ড ধরা পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া ভাগাড়ের মরা বিড়াল কুকুরের মাংসের কথা ভুলে ফের কিছুদিনের মধ্যেই নামী রেস্তোঁরায় বসে খাওয়ার ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া শুরু হল ফিলিং হাংরি। ভাগাড়ে মাংস, সে তো না জেনেই পেটে চলে গেছে। আর ভেবে কি লাভ। কাউকে বলতে শুনবেন বাঙালি কি খায়নি বলুন তো! সত্যিই তাই, কি খাইনা আমরা।

দোকানে গিয়ে হাত পাতলেই একজোড়া ডিম পাওয়া যায় ১০ টাকায়। ডিম তো আর হাঁস, মুরগি ছাড়া কেউ পাড়ে না। ভেজাল হলে কাক, বক, চিল, শকুনের ডিম পেটে যাবে, তার বেশি কিছু হওয়ার নয়। সেই ধারনাও কিঞ্চিৎ ভুল। ডিম ভাগাড়ের না হলেও প্লাস্টিকের হতে দোষ কোথায়!

হ্যাঁ, এই প্লাস্টিকের ডিমের আবিষ্কর্তা চিন। বেশ কিছুদিন আগে কলকাতার তিলজলা অঞ্চলের বাসিন্দা জনৈক স্কুল শিক্ষিকা বাজার থেকে কিনে আনা ডিমের ওমলেট করতে গিয়ে টের পান কড়াইতে আটকে গেছে তার ডিম। ঘটনা না বুঝতে পারলেও কোন অসাধু ব্যবসার আঁচ পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে জানতে পারেন পার্ক সার্কাস এলাকায় খোলা বাজারে দেদার প্লাস্টিকের কৃত্রিম ডিম বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকদিন ধর-পাকড় হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের রটানো গুজব বলে ঘটনাটি ধামা চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে প্লাস্টিকের  ডিম তৈরির প্রযুক্তির আবিষ্কর্তা চিন। পার্শ্ববর্তী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রায়ই চোরা পথে এই ডিম প্রবেশ করছে ভারতীয় বাজারে। ভ্রুক্ষেপ নেই ফুড কর্পোরেশনেরও।

কিভাবে চিনবেন নকল ডিম!

খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল ডিম তুলনামূলকভাবে বেশি সাদা, চকচকে এবং ভারি। সাধারণ ডিম ভাঙার পরই কুসুমের সঙ্গে কিছুটা জলীয় অংশ বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্লাস্টিক ডিমে তা হয় না। এছাড়া এর কুসুমও ভাঙতে চায় না। ক্যালশিয়াম অক্সালেট দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই ডিমের খোল আগুনে দিলে পুড়ে গন্ধ বের হচ্ছে।

গোপন সূত্রের দাবি, নকল ডিম তৈরির কারখানা আছে চিনেই। এই প্রযুক্তিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই ধরনের ডিম তৈরি হতে শুরু হলে আসল ডিমের সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রি করে দেওয়া খুব সোজা। নকল ডিমে ক্যালসিয়ামের জটিল যৌগ দিয়ে। আঠা জাতীয় রবার দিয়ে তৈরি হয় কুসুমের অংশ। নকল ডিম ফেলে রাখলে পিঁপড়ে আসে না। এর খোলাটা খুব শক্ত হয়। চিনের কারখানায় এই ডিম প্যাকেট জাত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় খোলা বাজারে।