Date : 2024-04-23

ধনেখালির একাধিক বুথে হুমকির অভিযোগ লকেটের বিরুদ্ধে, এফআইআর এর নির্দেশ কমিশনের

হুগলি: ভোট শুরু হতেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে হুগলির ধনেখালিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পঞ্চম দফা ভোট শুরু হতেই হুগলির বেশ কয়েকটি বুথে ভোট পরিদর্শনে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বেশি কয়েকটি বুথে ঢুকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ধনেখালিতে একটি বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগে বুথে ঢুকে রীতিমতো রণমূর্তি ধারণ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

ধনেখালির মৃত্যুঞ্জয় প্রাইমারি স্কুলের বুথে সোমবার সকালে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেখে তৃণমূলের কিছু সমর্থক “বন্দে মাতরম” স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনায় রীতিমতো মেজাজ হারান তিনি। হুমকির সুরে পাল্টা “জয় শ্রী রাম ধ্বনি” দেওয়ার জন্য চাপ দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২১১ নম্বর বুথে উপস্থিত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০৮ নম্বর বুথে ঢুকে তার গলায় ফের হুমকির সুর শোনা যায়। বুথে বিজেপি এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ায় “মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব” বলে এক তৃণমূল সমর্থককে প্রকাশ্যে হুমকি দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

অভিযোগ, একই ঘটনার জেরে ধনেখালির কাকড়াখুলি বুথে পৌঁছে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কমিশনের ভূমিকা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

তার অভিযোগ, “ হুগলিতে ১০০ টি বুথেই পুনঃনির্বাচনের প্রয়োজন আছে। ৯০ শতাংশ ভোট এখানে সাধারন মানুষের ভোট নয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইভিএম ভেঙে ফেলার অভিযোগও করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভোটকর্মীদের বিরতির সময় ১৫৯নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন লকেট। ভোটকর্মীদের খাওয়া দাওয়ায় ব্যস্ততার মাঝে দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের উপরও হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই পুনঃনির্বাচনের দাবিতে জেলা শাসকের দফতরে ধরণায় বসে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ধনেখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকে।