ওয়েব ডেস্ক: সপ্তম দফা ভোট মিটতেই জাতীয়, আঞ্চলিক প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের দর্শকের কাছে তুলে ধরেছে বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফলাফল।ভোটের ফলাফলের সমীক্ষা নিয়ে তর্ক-বিতর্কও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এত কিছুর মধ্যে “নমো টিভি”র দর্শকদের মধ্যে চাঞ্চল্য।
টিভির পর্দা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি “নমো টিভি”। ভোট শেষ হতেই টেলিভিশনের পর্দা থেকে কর্পুরের মতো উবে গেছে চ্যানেলটি। বিজেপির সূত্রে খবর, ভোট প্রচারের শেষ দিন ১৭ মে থেকে এই চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নাম ও পদবীর অদ্যাক্ষর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই চ্যানেলটির নাম। প্রথম থেকে এই চ্যানেল নিয়ে বিতর্ক ছিল।
২৬ মার্চ থেকে নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই চ্যানেল। টাটাস্কাই, ভিডিওকন ডিস টিভি র মতো ডিটিএইচ অপরেটারদের মাধ্যমে এই চ্যানেল পৌঁছে যেত জনগনের কাছে। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন রেকর্ডেড অনুষ্ঠান ও বাধ্যতামূলক বিজ্ঞপ্তির জন্য কিছু বিধি-নিষেধ জারি করে কমিশন।
কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চ্যানেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে চায় নির্বাচন। মোদী সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকেই জানানো হয়, এই চ্যানেল শুরু করার জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি চ্যানেলের মালিক সম্পর্কেও কোন তথ্য নেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে।
ভোটের সময় চ্যানেলটিতে শুধুই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচার সম্প্রচারিত হত। ১৯ তারিখ ভোট মিটতে নিঃশব্দে প্রস্থান করে নমো টিভি। বিজেপি সূত্রে খবর, ভোট মিটতেই নরেন্দ্র মোদী আপাতত মন্ত্রী সভার বৈঠক ও অল ইন্ডিয়া রেডিও-য় সম্প্রচারিত হতে চলা পরবর্তী “মন কি বাত” অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ভোট মিটতেই হঠাৎ-ই অদৃশ্য হল কেন নমো টিভি। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বা অমিত শাহের প্রচার মাধ্যম হয়ে উঠতে চেয়েছিল নমো টিভি, উঠছে প্রশ্ন।