Date : 2024-04-20

রাত পোহালেই ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় চলছে গণনার প্রস্তুতি…

ওয়েব ডেস্ক: ভোট শেষ হতেই গণনা নিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলাও করেন বিরোধীরা। ইভিএম-এর আগে ভিভিপ্যাট গণনা ও ১০০ ভিভিপ্যাট গণনার আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেন বিরোধীরা। কিন্তু কোর্টের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয় এই আর্জি।

গণনার ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত নিয়মের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে মোট ৫৮টি গণনা কেন্দ্র থাকছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রের বাইরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বাড়ানো হয়েছে কাউন্টিং অবজারভারের সংখ্যাও। কলকাতা ও ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে বেশি রাউন্ড গণনা হবে বলে জানা গেছে। তাই এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।

আশান্তির আশঙ্কায় ভোটের আগের দিন থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে থাকবে পুলিশি প্রহরা। ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় একাধিক বার উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। প্রত্যেক লোকসভায় অন্তর্গত বিধানসভায় পাঁচটি করে বুথে ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হবে। শহরের ১৩টি জায়গায় গণনা চলবে আগামিকাল। সেইসব গণনা কেন্দ্রের ভিতরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর বাইরে মূল গেটে কলকাতা পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়াও গণনা কেন্দ্রগুলির বাইরে সাদা পোশাকে পুলিস মোতায়েন থাকবে।

প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রের বাইরে দুজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। কলকাতার ক্ষেত্রে যে গণনা কেন্দ্রে ১টি বিধানসভার কাউন্টিং চলবে সেখানে গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে একজন ডিসি ও দুজন এসি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গণনা কক্ষের বাইরে থাকবে পুলিশি পাহারা।

ইতিমধ্যে স্ট্রংরুম ও ইভিএম-এর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে সিআরপিএফ। লালবাজার সূত্রে খবর কাল গণনার নিরাপত্তার কাজে ৪০০০ হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ থাকবে। এমনকি গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে আসতে পারবেন না কেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।