Date : 2024-04-19

এনআরএস কাণ্ডের জের, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি অধীরের…

ওয়েব ডেস্ক: সোমবার মধ্যরাতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে। রোগীর পরিবারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বাক্ বিতন্ডা ক্রমশ সংঘর্ষে পরিনত হয়। হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বাইরে থেকে লোক এসে বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। চলে বেধরক মারধর। ঘটনার জেরে আহত হয় দুজন জুনিয়র ডাক্তার। এর জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে সমর্থন জানায় সিনিয়ররাও। শুরু হয় ডাক্তারদের কর্মবিরতির বেনজির প্রতিবাদ।

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়ে। বুধবারেও একই চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে। কোথাও কোথাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা।ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কড়া অবস্থানে অনড় ডাক্তাররা। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে অধীর লিখেছেন, “ এনআরএসে ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় বাংলায় যে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইন্টার্ন, জুনিয়র ডাক্তাররা। আর অন্যদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আহত ইন্টার্ন, রোগীদের অবস্থা ভয়ঙ্কর।সব মিলিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।”

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন এইরকম চলতে থাকলে আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে বাংলা। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবিলম্বে অচলাবস্থা না কাটলে আগামী দিনে আরও রোগী মারা যেতে পারে রাজ্যে। মহম্মদ সাহিদ নামে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস হাসপাতাল। ইটের আঘাতে  পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক ইন্টার্ন গুরুতর আহত হন। সোমবার দীর্ঘক্ষণ মাথায় জটিল অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয় তাঁর।