Date : 2024-04-26

‘এসমা’-র হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর, আরও বেঁকে বসলেন ইন্টার্নরা…

ওয়েব ডেস্ক: এনআরএস কাণ্ডে এসএসকেএম-এর অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘এসমা’ বা এসেন্সিয়াল সার্ভিস মেন্টেনেন্স অ্যাক্ট-এর হুঁশিয়ারি দেন। হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রোগীদের আশ্বস্ত করে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ভঙ্গ করতে হুঁশিয়ারি দেন। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অবস্থানে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে তারা বলেন, “আমরা কেউ সরকারের কাছে দায়বদ্ধ নই। সরকার ‘এসমা’ জারি করার আগেই আমরা গণ ইস্তফা দেব।” ইতিমধ্যে ১১ জন চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনার সাগরদত্ত হাসপাতালে ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকি এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তারদের একটি দল ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে রাজভবনে। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানান। পাশাপাশি এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘বাহিরাগত’ সহ সিপিআইএম ও বিজেপির কর্মী বলে রাজনৈতিক তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন তারা।

এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের কাজ সেবা করা। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কেউ ইচ্ছে করে এসব কাজ করে না। ঘটনায় আহত ডাক্তারের চিকিৎসার ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি আন্দোলনরত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও জুনিয়র ডাক্তাররা তার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেননি বলে তিনি তোপ দাগেন।”

তিনি এদিন আরও বলেন, “একটা ডাক্তার তৈরি করতে ২৫ লক্ষ টাকা লাগে। এখানে ইন্টার্ন করে তারপর বাইরে চলে যায়। আমি যদি ডোনেশন চালু করি, আরও ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ে সুবিধা পাবে। ওদের মায়া নেই? কিছুলোক উস্কানি দিচ্ছে ওদের। আজ ২টোর মধ্যে কাজে যোগ দিলে ভালো, আমরা এসমা জারি করব।”

এরপরেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। কর্মবিরতির অবস্থানে অনড় থেকে তাঁরা জানান, “রাজ্যের ডাক্তারদের নিরাপত্তা নেই। ডাক্তাররা চলে গেলে পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্যের। এই দায় ডাক্তারদের নয়।” কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হলে তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড় থাকবেন এমনটাই জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।