ওয়েব ডেস্ক: চেন্নাইতে এখন সোনার থেকেও মূল্যবান সম্পদ জল। সমগ্র তামিলনাড়ু জুড়ে তীব্র জল সংকট চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে রাজ্যসভায় এই কথা তোলেন সিপিএম সাংসদ টিকে রঙ্গরাজন। ২০ টাকায় যে প্যাকেজ ড্রিংকিং ওয়াটার পাওয়া যেত তার দাম এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। চেন্নাই দেশের এমন একটি শহর সম্প্রতিকালে যেটি শুষ্ক হয়ে পড়েছে। চলতি বছর ১৩ জুন পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৪১% কম বৃষ্টি হয়েছে। তিনি রাজ্যসভায় জানান,চেন্নাইয়ের অধিকাংশ মানুষ এখন জলের ট্যাঙ্কার, পুরসভার সরবরাহ ও পানীয় জলের বেসরকারি সরবরাহের উপর নির্ভরশীল।
আর এই কয়েকটি মাত্র জল সরবরাহের ব্যবস্থায় অগ্নিমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পানীয় জল। বেসরকারি ট্যাঙ্কারের জল একগ্রাম সোনার থেকেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই চেন্নাই এখন সোনার থেকেও মূল্যবান পানীয় জল। জলের অভাবে এতটাই ভয়াবহ পরিস্থিতি চেন্নাই জুড়ে যে সমস্ত স্কুল-কলেজ অফিস বন্ধ রয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহু রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে জলের অভাবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কেরল থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে চেন্নাইতে।
সিপিআই সাংসদ ডি রাজা বলেন, বিভিন্ন নদীর মধ্যে সংযোগ তৈরির জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে ঐক্যমতের চেষ্টা করার সময় এসেছে সরকারের। জলের অপব্যবহারে শাস্তির ধারা আনার দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা মনোজ কুমার ঝা। জল সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সব মিলিয়ে গোটা চেন্নাই ভয়াবহ জলাভাব দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহুর্তে জল সংকটের বিষয় নিয়ে সতর্ক না হলে দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের উপর এই সমস্যা নেমে আসতে পারে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চেন্নাই-এর মানুষ এখন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে। পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টি অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।