ওয়েব ডেস্ক: কথাতেই আছে “everything is fare in love and war”। ভালোবাসলে আমরা কোনোকিছুরই পরোয়া করিনা, এবং যা যা কাজকর্ম করি সেসবই যেন সঠিক মনে হয় তখন। এটা যে আদতেও খুব একটা ভালো জিনিস নয় সেটাই বোধহয় কবীর সিংয়ের (দক্ষিণী ছবি অর্জুন রেড্ডির রিমেক) মাধ্যমে দেখাতে চেয়েছেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। তাই প্রথমেই কথা না বাড়িয়ে চলে আসা যাক ছবির গল্পে।
কবীর রাজভীর সিং (শাহিদ কপুর) কলেজের একজন কৃতি ছাত্র ও কৃতি সার্জেনও। কিন্তু নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সে অক্ষম। কলেজের ফুটবল খেলায় মারামারি, সাসপেন্ড হওয়া, কলেজের ডিনের সামনে রেবেল সুলভ আচরণ, কিন্তু অদ্ভুতভাবেই সবকিছু মাফ হয়ে যায় সে কেবল একজন ভালো ছাত্র বলে। প্রথমবর্ষের নম্র, ভদ্র, শান্ত স্বভাবের প্রিতির (কিয়ারা আদবানী) প্রেমে পড়ে সে। প্রথম থেকেই সেই প্রেম এগোতে থাকে একপক্ষের সম্মতিতেই ও প্রভুত্ত্ববাদের নিয়মে। প্রিতিকে ক্লাস বাঙ্ক করানো, তার ইচ্ছেকে কোনো গুরুত্ব না দিয়েই বাইকে বসিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, ক্লাসে সবাইকে সাবধান করে অধিকারবোধ জাগানো “ওহ মেরি বান্দি হ্যয়” বলে, কেউ প্রিতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলেও সেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া, এমন কি কলেজে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সেটাও বেছে দেওয়া, এইভাবেই প্রেম গড়াতে থাকে কবীর-প্রিতির। শেষে গিয়ে সম্পর্কে ভাঙন, বাড়ি থেকে না মানা, বিয়ে না হওয়া। সেই ব্যথায় কবীরের সবরকমের নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া, সিনেমার শেষে যথারীতি নায়ক নায়িকার মিলন।
ছবি: কবীর সিং
সময়সীমা: ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট
অভিনয়: শাহিদ কপুর, কিয়ারা আদবানী
ছবির ধরন: অ্যাকশন রোম্যান্টিক ড্রামা
রেটিং: ৩/৫
সিনেমার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্দায় ছেয়ে ছিল শুধুই শাহিদ। কিয়ারাকেও ভালোই বলা যায়। প্রিয় বন্ধু শিভার চরিত্রে সোহম মজুমদার প্রশংসনীয়। আমাল মল্লিকের সুরে ছবির গান মানানসই। তবে কবীর সিং বড্ড হিরোকেন্দ্রিক। হাজার অন্যায়ের পরেও সহানুভূতি জুটছে কেবল যেন কবীরের ঝুলিতেই। বড়ই একপেশে।
বারবার চোখে আঙুল দিয়ে যেন এটাই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, পুরুষ ছাড়া সমাজে মেয়েদের কোনো যায়গাই নেই, তারা হাতের পুতুল মাত্র। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমন একটি গল্প সমাজকে একটি বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে। আদৌ কি আমরা এগোচ্ছি, নাকি দড়িটা নিয়ে দাঁড়িয়েই আছি সমাজকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য?