Date : 2024-03-28

শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ডেথ সার্টিফিকেট পেল বেলুড় মঠ

কলকাতা: অবশেষে রামকৃষ্ণদেবের ডেথ সার্টিফিকেট পেতে চলেছে বেলুড় মঠ। শনিবার কলকাতা পুরসভা এই নথি আনুষ্ঠানিক ভাবে বেলুড় মঠের হাতে তুলে দেবে। বেলুড় মঠের সংগ্রহশালায় রাখা থাকবে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ডেথ সার্টিফিকেট।পুরনো হওয়ার কারণে আসল ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয় কলকাতা পুরসভার তরফে। তাই অবিকল তার রেপ্লিকা তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা। সেটাই তুলে দেওয়া হয় বেলুড় মঠের হাতে। সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে ১৮৮৬ সালে ১৫ আগস্ট গলায় “আলসার”-এর কারণে ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। তবে ১৫ আগস্ট মধ্যরাতেই কি প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ দেব? এই নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়।

তবে এই দ্বিমতের জায়গায় আপাতত ইতি টেনেছে কলকাতা পুরসভা। শ্মশানঘাটের ঐতিহাসিক রেজিস্টার থেকে নথিপত্র বেলুড় মঠকে দান করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। তাই শ্মশানের খাতা অনুসারে মৃত্যুর তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা আছে, সেটাই সঠিক সময় ও মৃত্যুদিন হিসাবে ধরবে বেলুড় মঠ।

সেই খাতায় উদ্ধার হওয়া নথিতে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে, ৯৫০ নম্বর এন্ট্রিতে ছিল রামকৃষ্ণদেবের নাম। সেখানে লেখা আছে, “রাম কিষ্টো প্রমোহংশ, ৪৯ কাশিপুর রোড, বয়স ৫২।” মত্যুর তারিখের স্থানে লেখা আছে ১৫ আগস্ট ১৮৮৬ সাল।

প্রসঙ্গত, সেই সময় ব্রিটিশরা আইন করে মৃত্যুর তথ্য থানায় রেজিস্টার করিয়ে রাখত। সেই মত কাশীপুর থানায় তার আনুগামীরা ঠাকুরের নাম নথিভুক্ত করান, সেখানে লেখা ছিল ঠাকুরের আসল নাম, গদাধর চট্টোপাধ্যায়। যেহেতু মধ্যরাতে রামকৃষ্ণদেবের মৃত্যু হয় তাই সময় পরিবর্তন করে সেখানে লেখা ছিল ১৬ আগস্ট ১৮৮৬ সাল।

বেলুড় মঠের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভা এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখে কাশিপুর থানার কাছ থেকে। তবে মৃত্যুর কারণ হিসাবে গলায় আলসার হওয়ার কথা লেখা থাকায় প্রশ্ন উঠেছে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে, যদিও পুরসভার তরফে বলা হয়েছে ওই সময় ক্যানসারের বদলে আলসার কথাটাই বেশি প্রচলিত ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তাই ক্যানসারের জায়গায় আলসার কথাটির উল্লেখ করা হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে।