Date : 2024-04-19

SSKM-এ ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারী, বিক্ষোভ চরমে

কলকাতা: বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ আউট ডোরে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। একে একে রোগীরাও টিকিট নিতে শুরু করেন। কিন্তু এনআরএস কাণ্ডের জেরে আজও বেলা বাড়তেই জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেয়নি। এর জেরে ফের এসএসকেএম জুড়ে চূড়ান্ত হয়রানি শুরু হয়।

ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান। হাসপাতালের ভিতর মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই বাইরে জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর জেরে এসএসকেএম চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। রোগীর পরিবারের হাত থেকে চিকিৎসকদের নিগ্রহ রুখতে সুবিচারের দাবি জানাতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে শুরু জুনিয়র ডাক্তাররা “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” বলে।

এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ৪ ঘন্টা সময়সীমা দিয়েছেন ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। এমনকি তিনি চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাজে যোগ না দিলে সমস্ত সরকারি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং হস্টেল ছেড়ে দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে এদিন সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই রোগীর আত্মীয়রা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে আন্দোলন করতে থাকেন চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ানোর জন্য।

তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব।” তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা সকলেই আউটসাইডার। কি ভেবেছেন ওরা? ওরা ডাক্তার? নাটক করছে! বুঝুন কাদের ভোট দিয়েছেন।”

বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে এবং হিন্দু-মুসলমান করা হচ্ছে। হাসপাতালে কোন রকম রাজনীতি বরদাস্ত করা যাবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেয়। এসএসকেএম-এর জরুরী বিভাগে ঢুকে তিনি চিকিৎসা পরিষেবা চালু করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেম-এর এমার্জেন্সি বিভাগে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কউন্সিলররা পৌঁছে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করার জন্য পাল্টা আন্দোলন করে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ২ টোর মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এনআরএস-এ জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।