Date : 2024-04-19

“জীবে প্রেম”-এর অনন্য নজির, বেলেঘাটায় সারমেয়দের জন্য সুইমিং পুল

কলকাতা: কাঠফাটা গরমে আকাশের দিকে তাকালে শুধুই গনগনে রোদ। আষাঢ়ের মাঝামাঝিও দেখা নেই একবিন্দু বৃষ্টির। দুপুর গড়ালেই নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। তবে এই গরমে সারমেয়দের অবস্থা কতটা করুণ হতে পারে। পশু-পাখির জন্য আলাদা করে খাবার জল রাখে না কেউ, এই দবদাহে এক ঢোক জলের জন্য খোঁজ করতে হয় তাদের। কিন্তু এখনও এমন কিছু সহৃদয় মানুষ আছেন যারা এদের প্রতি সহানুভুতিশীল।

শহরের বুকে তেমনই এক পরিবারের খোঁজ মিলল। বেলেঘাটার মৌলিক পরিবার এই গরমে পথের কুকুরদের জন্য সুইমিংপুলের ব্যবস্থা করলেন। বাড়ির ভিতরে বেশ কিছুটা জায়গা নিয়ে সরমেয়দের জন্য জলাধার বানালেন। পাশাপাশি বাড়ির দরজার সামনে বানালেন তাদের থাকার জন্য দুটি ঘর। রোদ-বৃষ্টিতে যাতে কষ্ট না পায় পথের কুকুররা। দুটি ঘরে সব মিলিয়ে আপাতত ৬টা কুকুর থাকতে পারবে। ঘরের মধ্যে কাপড় বস্তা দিয়ে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে বিছানার, যাতে রাতে পাহারা দেওয়ার পর ভরদুপুরে ক্লান্তি দূর করতে একটু ঝিমিয়ে নিতে পারে সারমেয়রা।

মাটির হাঁড়িতে রাখা হয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জল। সময় মতো স্বাস্থ্য সম্মত খাওয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং এই গরমে একটু স্বস্তি পেতে দুপুরে সুপইমিং পুলে গা ভিজিয়ে মনের আনন্দে সাঁতারে নিচ্ছে পথের কুকুররা। তারপর পেট পুজো সেরে একটু জিরিয়ে নেওয়ার পালা। কুকুরের দেখাশুনোর দায়িত্ব মৌলিক বাড়ির সদস্য বিশ্বজিৎ-এর উপর। কুকুরের দেখভালের সমস্ত খরচ বহন করেন তিনি। শুধু কুকুরের স্নান খাওয়ার ব্যবস্থা নয়, সারমেয়দের কোন অসুস্থতা হলে ওষুধের খরচও বহন করেন বিশ্বজিৎ।

পথের কুকুরদের জন্য এই ভাবনা বাস্তবায়িত করতে মৌলিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারাও। ভবিষ্যৎ-এ আরও কুকুরের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন মৌলিক পরিবার এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ মৌলিক। শুধু পথের কুকুরদের জন্য ব্যবস্থা নয় বেলেঘাটার মৌলিক পরিবার গরিবদের বস্ত্র বিতরণ, দুঃস্থ শিশুদের খাওয়ানো ছাড়াও এলাকায় আরও অনেক সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।