ওয়েব ডেস্ক: লালগ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে প্রথম থেকেই নাসার উৎসাহের শেষ নেই। মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক গঠন সম্পর্কে অনেকেটাই স্পষ্ট ধারনা তৈরি করেছে নাসার পাঠানো যান রোভার। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও চিত্র পাঠিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে পৃথিবীর নিকটতম গ্রহে প্রাণের সন্ধানের বিষয়টিকে আরও অনেক সহজ করে তুলেছে রোভার। কিন্তু পৃথিবী থেকে পাঠানো রোভারের উপর কি বিশেষ নজর রাখছে অন্য কেউ!
সম্প্রতি ‘কিউরিওসিটি’ রোভারের পাঠানো ছবি ঘিরে এমনই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি মঙ্গলের মাটিতে একটা সাদা রঙের চাকতি ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে ‘কিউরিওসিটি’র ক্যামেরায়। যদিও নাসার তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোন স্পষ্ট ধারনা দেওয়া হয়নি। নাসার তরফে জানানো হয়েছে ছবি ভুয়ো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও রোভার একাধিকবার এরকম সাদা রঙের একটি চাকতির ছবি একাধিকবার পাঠিয়েছিল, তা দেখে ভিন গ্রহে জীবের অস্তিত্বে বিশ্বাসীদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের খবর শেষ পর্যন্ত ভুয়োও প্রমানিত হয়, তাই নিশ্চিত করে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি নাসার তরফে।
নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, অনেক সময় মঙ্গলের বিভিন্ন পাথরের গায়ে সূর্যের প্রতিফলন হয়ে এই ধরনের আলেয়ার সৃষ্টি হয়। লক্ষ্যনীয় বিষয় ছবিটি দিনের সময় তুলে পাঠানো হয়েছে, তাই এই ধরনের আলোর প্রতিফলন ঘটতেই পারে।
ভিনগ্রহীদের বিষয়ে স্বঘোষিত গবেষক স্কট সি ওয়ারিং-এর ধারনা, ওই গোলাকার চাকতিটি কোনও আলোর ভ্রম নয়, ওটি ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান। সেই মহাকাশযানের মাধ্যমে তারা আসলে রোভারের পৃথিবীর যন্ত্রটির উপর নজরদারি চালাচ্ছে।
অনেক বিজ্ঞানীদের মতামত, এর আগে মঙ্গলগ্রহে অনেক রকমের আলোর ঝলকানি দেখা গেছে, কসমিক রে বলেই মনে করা হয়েছে বিজ্ঞানীদের তরফে। কিন্তু এমন চাকতি ঘুরে বেড়নোর ছবি তারা আগে কখনও দেখেননি।
তাই ভিনগ্রহীদের আগমনের বিষয়টি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিচ্ছেন না একদল মার্কিন মহাকাশ গবেষক। ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব কি তবে সত্যি আছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তাঁরা আরও গভীরে গবেষনা করতে চান বলে জানিয়েছেন।