কলকাতা: চিকিৎসায় অচলাবস্থা কাটাতে এনআরএস-এ গিয়েছিলেন আইএমএ-এর সভাপতি শান্তনু সেন।
ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর বহিরাগত তত্ত্ব মেনে নিয়ে তিনি বলেন, “আমি ডাক্তারদের আবেগপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করি। এখানে এসে দেখলাম অনেকেই বাইরে থেকে এসে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।তারা অনেকেই আগে পাশ করে গিযেছেন। এমনকি অন্যত্র চাকরি করেন এমন নন মেডিক্যাল পার্সনও এখানে আছেন। আমার অনুরোধ তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”
এহেন মন্তব্যের পরেই ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এনআরএস চত্বর। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জিবি মিটিং-এর পরেই হাসপাতালের অ্যাকাডেমি বিল্ডিং-এর সামনে জড়ো হন। তাঁর বক্তব্যের পরেই নতুন করে শুরু হয় আন্দোলন।
তালে তাল মিলিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তাররা “বহিরাগত” স্লোগান দিতে শুরু করেন। এনআরএসে এদিন আইএমএ-এর প্রেসিডেন্ট কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এদিন বিক্ষোভরত ডাক্তাররা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা নবান্নের বৈঠকে যাবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে তাঁরা বলেন, তিনি এসে এনআরএস-এ বৈঠক করে সমস্যা বুঝে সমাধান করুন। জুনিয়র ডাক্তারদের অনড় অন্দোলনের ফলে নবান্নে কোন প্রতিনিধিই আজ বৈঠক করতে যাবে না বলে জানানো হয়েছে এনআরএস-এ আন্দোলনরত ডাক্তারদের পক্ষ থেকে।