ওয়েব ডেস্ক: প্রচলিত আছে জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পুরীতে জগন্নাথ দেবের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পুরান অনুসারকে রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম এই দিনেই পুরীর মন্দিরে ত্রিমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সূচনা হয় স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানের। তাই সোমবার জৈষ্ঠমাসের স্নানযাত্রা উৎসব পালন করা হলেও এইদিন পুরীতে জগন্নাথের আবির্ভাব তিথি পালন করা হয়।
এদিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্নান বেদীর উদ্দেশ্যে। পুরীর মন্দির প্রাঙ্গনে এই স্নান মণ্ডপ তৈরি করা হয়। স্নানযাত্রার পরদিন থেকে একপক্ষকাল সময় পর্যন্ত দেখা যাবে না জগন্নাথ দেবের মূর্তি।
এই পর্বটিকে বলা হয় অনাসর বা অনবসর পর্ব। এই দীর্ঘ ১৫ দিন সময় দারুব্রহ্মকে দেখতে না পাওয়ায় পটের মধ্যে পুজো করেন ভক্তরা। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে সারাদিন ধরে ভক্তদের সমাগম হয় পুরীতে। ১০৮টি সোনার কলসীতে জল ভরে স্নান করানো হয় মূর্তি। মন্দিরের পিছনে একটি কুয়ো আছে যেখানে ১০৮ ঘড়া জল তুলে স্নান করানো হয়। সেই জলেই স্নান করেন জগন্নাথ দেব সহ বলরাম ও সুভদ্রা।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে এবার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মঙ্গলারতি ও সূর্যপূজোর পর রীতি মেনে এদিন স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রচলিত আছে স্বয়ং রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম নাকি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাস্নানের পর প্রভু জগন্নাথের অঙ্গরাগবিহীন রূপ যেন কেউ না দেখে। তাই এই অনুষ্ঠান শেষ হতেই বন্ধ করে দেওয়া মন্দিরের দরজা।