ওয়েব ডেস্ক: স্নান,খাওয়ার মতো সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারেন না সারা পৃথিবীতে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এমন। ফেসবুক নিয়ে বিরোধী মতামত দেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভারতের মতো দেশে ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যা, খুনের মতো অপরাধ ঘটছে এখন।
তাছাড়া কুপ্রস্তাব, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য ফেসবুকের কৃতিত্ব এখন শীর্ষে। ফেসবুক ব্যবহারিক জীবনে কতটা ক্ষতিকর এই নিয়ে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি একটি গবেষনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মনোবিদদের একাংশের মতামত, মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে ফেসবুক অবশ্যই বর্জনীয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করেছেন এমন দশ হাজার গ্রহকের উপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকদের মত, এর ফলে নেতিবাচক দিক হিসাবে অনেক তথ্য ও খবরাখবর থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন কিন্তু সারাদিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় তারা অতিরিক্ত পেয়েছেন অবসরের জন্য। প্রথমদিকে বেশকিছুদিন অস্বস্তি থাকলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অস্বস্তিও কেটেছে।
এমনকি মানসিক ও শারীরিক ভাবে অনেকটা সুস্থ থাকতে পেরেছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে এদের মধ্যে স্বাভাবিক ঘুম হওয়ার ফলে ও অনিদ্রজনিত সমস্যা দূর হয়েছে। গবেষকদের একাংশের মতামত, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অধিকাংশই ব্যক্তিগত জীবনে হতাশায় ভোগেন। তবে হতাশা ও একাকিত্বের কারণেও অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করেন বলে মত গবেষকদের।
এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে গবেষকদের মত, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজেই জানিয়েছেন এর তাদের অধিকাংশের জীবনে হতাশার কারণ হয়েছে অতিরিক্ত সময় ফেসবুকে ব্যয় করার জন্য। গবেষকদের মত, নিজেদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে পাশ্চাত্য দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বেচ্ছায় ফেসবুক ত্যাগ করেছেন।