ওয়েব ডেস্ক: মাথার ঝুঁটি, পালক, ঠোঁট, পা, নখ আদ্যপ্রান্ত সব কুচকুচে কালো। এই মুরগির নাম কাদাকনাথ। উত্তর প্রদেশের মাত্র কয়েকটা অঞ্চলে গেলেই একমাত্র এই মুরগির দেখা মিলবে। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগির প্রথম দেখা পাওয়া যায়। সেখানে এই মুরগিকে বলা হয় আয়ম কোমানি। ভারতের মধ্যপ্রদেশেই এই প্রজাতির মুরগির নাম কালোমাসী।
ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়ারায় ১৫০০ কাদাকনাথ স্ত্রী মুরগি নিয়েই একটি ফার্ম খোলা হয়। প্রতিটি মুরগির দাম ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা। শুধু বাইরের দিক থেকে নয় এই মুরগির দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অধিকাংশ কালো রঙের। শুধুমাত্র জিভটি গাঢ় লাল বর্ণের হয়। এমনকি মুরগির ডিম সম্পূর্ণ কালো রঙের হয় ভেতর ও বাইরে থেকে।
এই মুরগি সহজেই যে কোন পরিবেশে প্রতিপালন করা সম্ভব হয়। এর মাংস ও ডিম সমস্ত পাখির মাংসের মধ্যে সেরা। শুধুমাত্র সুস্বাদু হওয়ার কারণেই নয়, কাদাকনাথ মুরগির মাংসের গুনগত মান ও অন্যান্য পাখির মাংসের থেকে অনেকটা বেশি। তীব্র কালো এই মুরগির ডিম আর মাংসে ৪০ শতাংশ প্রোটিন থাকে একেই ভাবে কলেস্ট্রেরলের পরিমান থাকে ০.৭৩ শতাংশ।
ভিটামিন বি৬, বি১, বি ১২ এর বিপুল সম্ভার আছে কাদাকনাথ মুরগির ডিম আর মাংসে। অসুস্থ মানুষের জন্য এই ডিম খুবই উপকারি। হৃদ্ বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে যেকোন পরিবেশে এই মুরগির চাষ করা সম্ভব, তাই ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে এই মুরগির চাষ শুরু হয়েছে আর্থিক ভাবে অনেকটাই লাভ হয় কাদাকনাথ মুরগির চাষের ক্ষেত্রে। সাধারণ মুরগির থেকে পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই মুরগির চাহিদা ক্রমশ বাড়তেও শুরু করেছে।