ওয়েব ডেস্ক: বাবা রামদেবের হাত ধরে সারা বিশ্বে যোগচর্চা ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। ভারতের প্রসিদ্ধ ও বহুল প্রশংসিত যোগগুরুর নাম উঠলেই তাই বাবা রামদেবর নামটাই আসে সবার আগে। কর্পোরেট প্রচারের মাধ্যমে এই প্রাচীন শরীরচর্চার পদ্ধতি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় ঘটিয়েছে। তবে বিশ্বের দরবারে ভারতীয় যোগগুরু হিসাবে বাবা রামদেবের প্রচার সর্বাধিক হলেও দেশের প্রবীনতম যোগগুরু কিন্তু একজন মহিলা।
তামিলনাড়ুর ৯৯ বছর বয়সী ভি.নানাম্মল যোগচর্চায় নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছেন এখনো। এই বয়সে একমাত্র যোগচর্চাই তাঁকে সুস্থ রেখেছে।
সংসার,সন্তান সামলেও তিনি নিয়মিত যোগচর্চা চালিয়ে যেতেন। পরিবারের সকলকেও যোগচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতেন।নিয়মিত যোগাভ্যাস করাতেন পরিবারের সকলকে। এমনকি প্রায় ১০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে তিনি যোগ শিক্ষা দিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই এখন দেশ-বিদেশে যোগচর্চা শিক্ষাগুরু হিসাবে কাজ করে চলেছেন।
ছড়িয়ে দিয়েছেন ভি. নানাম্মলের যোগ শিক্ষা। যোগচর্চা বর্তমানে অনেকের কাছেই শরীর সুস্থ রাখতে ঘাম ঝরানোর একটি উপায় বলে মনে করেন। কিন্তু নানাম্মল যোগ সম্পর্কে ভিন্ন ধারনা তৈরি করেছেন তাঁর শিষ্য মহলে।
তাঁর কথায় যোগ শুধুমাত্র ঘাম ঝরিয়ে শরীরকে ঝর ঝর রাখার উপায় নয় বরং শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য নিয়মিত যোগচর্চা করা প্রয়োজন। যোগচর্চায় বিশেষ অবদান রাখায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর কাছে তিনি নারীশক্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৮ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছে। যোগচর্চাকে তিনি জীবনের সঙ্গে এমন ভাবে যুক্ত করেছেন যে বয়সটা শুধুমাত্র একটা সংখ্যা হয়ে গেছে নানাম্মেলের জীবনে।
যে বয়সে বেঁচে থাকাই একটা চ্যালেঞ্জ সেই বয়সে নানাম্মল প্রতিদিন যোগচর্চা করে নিজেকে সুস্থ রেখেছেন। এই বয়সেও নানাম্মল একটার পর একটা যোগাসন করে চমকে দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষকে। চালিয়ে যাচ্ছেন যোগশিক্ষা প্রদানের কাজও।