Date : 2024-04-26

অসমের ছায়া রাজ্যে! নরবলির শিকার যুবতীকে উদ্ধার করল গ্রামবাসীরা…

আলিপুরদুয়ার: অসমের শিশুর নরবলি নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড় তখন বাদ গেল না এই রাজ্যও। শনিবার আলিপুরদুয়ারে বিপত্তারিণী পুজোকে কেন্দ্র করে নরবলির ঘটনা ঘটতে ঘটতে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতে নাতে ধরে ফেলল।

পুজো উপলক্ষ্যে একদল দুষ্কৃতী গ্রাম থেকে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা গেল যুবতীকে।

ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ারের দুই নম্বর ব্লকের দক্ষিণ পারোকাটা গ্রামের বাড়ুইপাড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ওই গ্রামে এক অববিবাহিত যুবতীকে কাজের লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে আসে একদল দুষ্কৃতী।

স্থানীয় দম্পতি মঞ্জু দাস ও অনিল দাসের সহযোগীতায় ওই দুষ্কৃতীরা যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন দুষকৃতীদের মতলব বুঝে তাদের আটকে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ভাটিবাড়ি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, বছর ৪৫ অবিবাহিত যুবতীকে নরবলি দেওয়ার জন্য মনস্থ করে অভিযুক্তরা। তবে কোন মন্দিরে এই নরবলি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতেরা হল ঝুটন সরকার, সুশান্ত অধিকারী ও সুভাষ বর্মন। ঝুটনের বাড়ি কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে। সুশান্তর বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাট থানার নাগুরহাট গ্রামে।

সুভাষ কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা। এই তিনজনকেই এখন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের জেরার মাধ্যমে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে যুবতীকে দুষ্কৃতীরা টার্গেট করেছিল, তারা ৬ বোন। এদের মধ্যে পাঁচ বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই। বয়স হয়ে গেলেও শারীরিক ত্রুটির কারণে অবিবাহিত ছিল ষষ্ঠ বোন। অভিযোগ নরবলি দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা এই বোনকেই টার্গেট করেছিল।

কিন্তু শেষমেশ সম্পূর্ণ ঘটনাই রুখে দেয় গ্রামবাসীরা। আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, “এই প্রথম নয়। এর আগেও এই তরুণীকে কাজের লোভ দেখিয়ে বাইরে পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।”