Date : 2024-04-25

নেত্রাবতী নদীর পাড়ে মিলল ক্যাফে কফি ডে-এর কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থর দেহ…

ওয়েব ডেস্ক: নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুদিন পর উদ্ধার হল ক্যাফে কফি ডে-এর কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থর দেহ। বুধবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ একদল মৎসজীবি তাঁর মৃত দেহটি উদ্ধার করেন নেত্রবতী নদীর পার থেকে।

সিদ্ধার্থ বাবুকে শেষবার ওই নদীর ওপরে সেতুতে দেখা গয়েছেল। পুলিশ তার দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই তা পাঠায় ওয়েলনক হাসপাতালে। তাঁর পরিবার সেখানেই দেহ শনাক্ত করে।

সিদ্ধার্থ হলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের জামাই। সোমবার রাতে বেঙ্গালুর থেকে সক্লেশপুরের দিকে রওনা হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর ড্রাইভারের দাবি, মাঝপথে সিদ্ধার্থ হঠাই বলেন ম্যাঙ্গালুরুর দিকে যেতে।

এরপর ম্যাঙ্গালুরুর কাছে নেত্রাবতী নদীর সেতুর উপর গাড়িটা থামাতে বলেন। ড্রাইভারকে ‘একটু হেঁটে আসছি’ বলে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি। তারপরে আর ফেরেননা। প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে, ফোনও করেন। পরে পুলিশে খবর দেন চালক বাসবরাজ পাটিল। এবং তাঁর ছেলে ঈশানকেও বিষয়টি জানান। তিনিও ফোন করে বাবাকে পাননি।

শুরু হয় তল্লাশি। এরই মধ্যে পুলিশকে এক স্থানীয় মৎস্যজীবী জানান, যে তিনি এক জনকে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাঁর কাছে পৌঁছতে পারেননি ও বাঁচাতেও পারেননি। এরপরেই মনে জট বাঁধতে থাকে আত্মহত্যার আশঙ্কা। সোমবার রাত থেকেই তন্নতন্ন করে তল্লাশি চলতে থাকে নেত্রাবতী নদী ও তার সংলগ্ন এলাকা জুড়ে।

প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে বুধবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। নিজের সংস্থার কর্মীদের লেখা সিদ্ধার্থের একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা ছিল, ‘সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমি লাভ ঘরে তুলতে ব্যর্থ। আমার দায়িত্বেই প্রত্যেকটি আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। আইনের কাছে একমাত্র আমিই জবাবদিহি করতে বাধ্য।’ ওই চিঠিতে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় ব্যবসায় তেমন ভাবে লাভ হচ্ছিল না সিদ্ধার্থের। পুলিশের ধারণা, ব্যবসায়ে আর্থিক মন্দার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ভি জি সিদ্ধার্থ।