ওয়েব ডেস্ক: সময়কালটা ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল। প্রায় ৫ বছর ধরে উপরমহল থেকে ক্রমাগত আসছে একটি নির্দেশ। এই পাঁচ বছরের মধ্যে কেটে ফেলতে হবে ১,০৯,৭৫,৮৪৪টি গাছ। কারণ? উন্নয়ন।
হ্যাঁ, একদমই সঠিক পড়ছেন। গত পাঁচ বছরে উন্নয়নের নামে কেটে ফেলা হয়েছে এক কোটিরও বেশি গাছ। পরিবেশ মন্ত্রকের এই নির্দেশের কথা শুনে বিস্মিত সবাই। এইদিন লোকসভায় পরিবেশ মন্ত্রক বাবুল সুপ্রিয় এমনই একটি কথা সবার সামনে তুলে ধরেন।
বলেন ২০১৪ থেকে ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রায় ১.০৯ কোটি গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন কারণ বশত প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে, এবং প্রচুর গাছ বনে আগুণ লাগার কারণে পুড়েও গেছে এই ক’বছরে।
এর সংখ্যাটা এতোটাই বেশি যে তার কোনো হিসেবই নেই সরকারের কাছে। শুধু প্রতি বছর অনুযায়ী একটা সংখ্যার কথা উল্লেখ করে দেওয়া হত। যেমন, ২০১৪-২০১৫ তে ২৩.৩ লাখ, ২০১৫-২০১৬ তে ১৬.৯ লাখ, ২০১৬-২০১৭ সালে ১৭.১ লাখ, ২০১৭-২০১৮ সালে ২৫.৫ লাখ। পরিবেশ মন্ত্রক বাবুল সুপ্রিয় আরও জানান, যে গত চার বছরে সরকারের তরফ থেকে প্রায় ২৩৭.০৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ১২টি রাজ্যে সবুজ ভারত মিশনের উদ্দেশ্যে। সেখানে ৮৭১১৩.৮৬ হেক্টর জমি ও ৫৬.৩১৯টি পরিবারে বৃক্ষরোপণ করার জন্য।
এছাড়াও আরও উল্লেখ করেন তিনি, ২০১৫-১৬ ও ২০১৮-১৯ সালে ৯৪,৮২৮ হেক্টর জমির জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রায় ৩২৮.৯০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে জাতীয় বনসৃজন কর্মসূচির উদ্দেশ্যে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া সবুজ ভারত মিশনে একটি সংকল্প গড়ে তোলা হয় যে প্রায় ৫ মিলিয়ন হেক্টরে ২০২০ সালের মধ্যে ৫০-৬০ মিলিয়ন টন কার্বন গড়ে তোলা হবে। কিন্তু তা খুব একটা সফল হয়েছে বলে সমীক্ষা বলছে না। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদীর সময়কালেই প্রায় ৫ বছর ধরে তাঁদের নির্দেসেই কাটা হয়েছে ১কোটিরও বেশি গাছ।