ওয়েব ডেস্ক: কথায় আছে পুলিশে ছুঁলে ১৮ ঘা আর উকিলে ছুঁলে ৩৪ ঘা। আদালতে মামলা মকদ্দমা থেকে রেহাই পেতে আমি আপনি উকিলের কাছে ছুটে যাই। আর মামলার ওজন বুঝে ভোজন করাতে হয় উকিলকে। না এই ভেজন মন্ডা মিঠাই-এর নয়, মোটা টাকা দিলে তবেই একজন ভালো উকিল পেয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। হরিশ সালভে, দেশের একমাত্র আইনজীবী যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা বেতনের ভিত্তিতে মামলা লড়াই করেন। ভারতের সংবিধানে বানিজ্য ও কর সংক্রান্ত আইনে তিনি সাম্মানিক ও বিশেষজ্ঞ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও অসম্ভব পারদর্শী। তাই তার উপর নির্ভর করে থাকেন দেশের তাবর তাবর শিল্পপতি থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনেরা।
বর্তমানে কুলভূষণ যাদবের মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে তিনিই ভারতের ভরসা। শুনলে অবাক হবেন এই মামলা মাত্র ১ টাকা ফিসের বিনিময় লড়ছেন দেশেই নামজাদা ও সম্মানীয় আইনজীবী হরিশ সালভে। কুলভূষণ যাদব মামলার শুনানি শুরু হয়েছে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় সওয়াল শুরু করেন ভারতের তরফে আইনজীবী হরিশ সালভে। প্রধানত, দুটি বিষয়কে ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে চাইছে ভারত।
এক, পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতের কূটনীতিকদের দেখা না করতে দিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম লঙ্ঘন করা। আর দ্বিতীয়, পাক সামরিক আদলতের দেওয়া কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডকে আইনবিরুদ্ধ ঘোষণা করুক আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। আইন সংক্রান্ত অসামান্য পাণ্ডিত্য তাঁর। আপাতত কুলভূষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে তিনিই আপিল করেন। দেশের সবচেয়ে দক্ষ আইনজীবীর কুলভূষণ যাদবের মামলায় মাত্র ১ টাকা বেতনে লড়াই সত্যিই দৃষ্টান্ত।
উল্লেখ্য, ভারতের চরবৃত্তি এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর সন্দেহে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল কুলভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শোনায় পাক সামরিক আদালত। ভারতের এই প্রাক্তন বায়ুসেনাকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি পাকিস্তানের। যদিও, ইরান থেকে কূলভূষণকে পাকিস্তান অপহরণ করে বলে অভিযোগ আনে ভারত। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে দ্বারস্থ হয় নয়াদিল্লি। এরপরই পাক আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত।