ওয়েব ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত আসাম। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্রে জল অস্বাভাবিক পরিমানে বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০। ক্ষতিগ্রস্থ ১০ লক্ষ মানুষ।২৭০০০ হেক্টর জমি জলের তলায়।অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে সিকিমের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন : “রাখে হরি মারে কে?”৩রাত উত্তাল সমুদ্রে ভেসে উদ্ধার মৎসজীবী
সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ধেমাজি, লক্ষীপুর, বিশ্বনাথ, নলবাড়ি, চিরাং, গোলাঘাট, মাজুলি, ডজোরহাট, ডিব্রুগড়, নাগাওন, মরিগওন, কোকরাঝাড়, বাকসা, শোনিতপুর, ডারাং, বারপেতা সহ বিভিন্ন জায়গা। ডুয়ার্সের এলাকায় রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিপর্যস্ত।
পর্যটকদের বেশ কিছু গাড়ি এর মধ্যে আটকে পড়েছে প্রবল বৃষ্টির কারণে। এর মধ্যে ২ টি পর্যটকের গাড়ি ভেসে গেছে তিস্তায়।আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আসামের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ২১ টি জেলা বন্যা বিপর্যস্ত। বাকি সমস্ত জেলাগুলির মধ্যে বারপেতার অবস্থা খুবই শোচনীয়।এই জেলার ৮৫০০০ মানুষ বন্যার কবলে।কাজিরাঙায় প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত বন্য জীবজন্তুর জীবন।অভয়ারন্য ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে গন্ডার সহ বিভিন্ন প্রাণীরা।
প্রাণীদের যাতায়াতের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য রাস্তার ধারে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড।গাড়ির গতিবেগও সীমিত করা হয়েছে এই অঞ্চলে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আসামের প্রায় ৮০০ গ্রাম এই বন্যার জেরে বিপর্যস্ত।
জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে প্রায় ৫৬টি ত্রাণ শিবির কেন্দ্র।শুধু কোচবিহার নয় অরুণাচল প্রদেশেও বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধ্বস নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়।আগামী রবিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত রকমের স্কুল, কলেজ।
গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইটানগর-নাহারলাগুন জাতীয় সড়ক।মিজোরামেও অত্যাধিক বৃষ্টির জেরে মৃত ২, জলের তলায় ৩৯০ টি বাড়ি।