ওয়েব ডেস্ক: ভাঙতে চলেছে বহু বছরের পুরনো বিচারধারায় সম্বোধনের রেশ। বিচারকের কাছে বিচার প্রার্থনার জন্য এবার আর বিচারককে “মাই লড” বা “ইওর লর্ডশিপ” নয়।রবিবার রাজস্থান হাইকোর্টের ডাকা একটি আলোচনায় মুখ্য বিচারক এস রবীন্দ্র ভাট এর তত্বাবধানে এই সিদ্ধান্ত পাশ করানো হয়।
মেট্রোকাণ্ডে সাসপেন্ড গার্ড, চালক, শুরু বিভাগীয় তদন্ত, সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার নোটিফিকেশন জারি করে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের তরফে জানানো হয় যে বিচারকদের অনুরোধের ভিত্তিতে আইনজীবীদের এবং মামলাকারীদেরকে বলা হয়েছে তারা যেন এবার থেকে বিচারককে শুধু “স্যার” বা “শ্রীমানজী” বলেই সম্বোধন করেন। নোটিফিকেশনের তরফে বলা হয়েছে ‘ সংবিধানের সাম্যতাকে সম্মান জানিয়ে কোর্ট গত ১৪.০৭.২০১৯ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সমস্ত কাউন্সেল এবং যারা মামলাকারী হিসেবে কোর্টে আসবেন তারা যেন বিচারককে মাই লর্ড বা ইওর লর্ডশিপ বলা থেকে বিরত থাকেন।
এমনকি বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফেও সুপ্রিম কোর্ট এবং হাই কোর্টের বেঞ্চ মেম্বারদের সম্বোধন করার ক্ষেত্রেও আইনজীবীরা “ইওর অনার” বা “অনারেবল কোর্ট” বলে সম্বোধন করতে পারেন।আবার অপেক্ষাকৃত লোয়ার কোর্টের ক্ষেত্রে আইনজীবীরা বিচারকদের “স্যার” বা আঞ্চলিক ভাষায় ওই ধরনের কিছু সম্বোধন মূলক ভাষা ব্যবহার করতে পারেন।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এরকমই আদেশ জারি করা হয়েছিল। যেখানে বিচারক এইচ এল দত্ত এবং এস এ বোবদে এক পর্যবেক্ষনে জানিয়েছিলেন যে আইনজীবী এবং মামলাকারীদের ক্ষেত্রে বিচারক মন্ডলীকে মাই লর্ড বা মাই লর্ডশিপ বলাটা বাধ্যতামূলক নয়।সেখানে সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে শুধু স্যার বলা যেতেই পারে।